জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা অনুষদের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে বিভাগ পরিবর্তনের আবেদন করায় এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটককৃত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ষোড়শ ব্যাচের শিক্ষার্থী। আটক হওয়া শিক্ষার্থী নাম সজীব আহমেদ।
জানা যায়, সজীব আহমেদ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে এ বিষয় তার পছন্দ না হওয়ায় বিভাগ পরিবর্তনের আবেদন করেন তিনি। বিভাগ পরিবর্তনের আবেদন পত্রে নিজেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী উল্লেখ করে সজীব বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পড়াশোনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে তার, যার প্রেক্ষিতে দর্শন বিভাগে মাইগ্রেশনের ইচ্ছা পোষণ করে সে। বিভাগ পরিবর্তনের জন্য করা আবেদন পত্রে নিজেকে হিন্দু পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা অনুষদের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নকল করে সে।
অভিযুক্ত সজীব আহমেদ মানিকগঞ্জের বাসীন্দা। তার বাবার নাম আবুল কালাম ও মায়ের নাম শিল্পী বেগম। এছাড়াও বিগত দুই মাস সে বিমান বাহিনীর ওয়াচম্যান পদে কর্মরত রয়েছে।
অভিযোগ স্বীকার করে সজীব আহমেদ বলেন, আমি আরবি পারি না। তাই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ পরিবর্তনের আবেদন করি। সেখানে আমি নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়েছি ও স্বাক্ষর ও সিল নকল করে আবেদন করেছিলাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল দৈনিক শিক্ষডটকমকে বলেন, স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আইটি দপ্তরে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন সজীব। পরে উপাচার্য স্বাক্ষর মিল না হওয়ায় সন্দেহ হয়। এরপর তাকে আমাদের কাছে আনা হয়। আমরা তার কর্মস্থল বিমান বাহিনীকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। তারা তাদের মতো ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া আমরাও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে সোপর্দ করা হবে।