মাহফিলে রাষ্ট্রবিরোধী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য না দেওয়ার শর্তে ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৭) জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে রফিকুল মাদানীর কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার (২৮ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রফিকুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।।
রফিকুলের আইনজীবী বলেন, রাজধানীর তেজগাঁও, মতিঝিল এবং গাজীপুরের গাছা ও বাসন থানার মোট চারটি মামলায় হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আদালত আজ এ রায় দেন
রাষ্ট্রবিরোধী ও নানান উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন।
মিথ্যা, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগে মাদানীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ মামলা করেন। একই অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল ও তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মামলায় বিচারিক আদালতে রফিকুল মাদানীর জামিন নাকচ করা হলে তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
গত ১ মার্চ মামলার শুনানি শেষে এক আদেশে হাইকোর্ট বলেন, ‘মামলার এজাহার, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট যাচাই-বাছাই করে মাদানীকে জামিন
দেওয়ার বিষয়ে আমরা একমত হতে পারিনি। তবে তিনি যদি ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন বিরোধী, ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার মুচলেকা দেন, তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।’এরই ধারাবাহিকতায় রফিকুল মাদানী হাইকোর্টে মুচলেকা দাখিল করেন