চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশ করা হবে। এদিন দুপুর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারবেন।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার মূল ফল প্রকাশের সাধারণত এক মাসের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়। ফলে আগামী ১৪ নভেম্বর সব শিক্ষা বোর্ড থেকে এক যোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হবে।
তিনি আরো জানান, ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা শিক্ষার্থীদের খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। শুধু পরীক্ষকদের দেয়া নম্বরগুলো ঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, তা দেখা হয়।
শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, দুই পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল জানা যাবে। একটি হলো এসএমএসের মাধ্যমে। এছাড়া নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারবেন।
প্রথম ফল প্রকাশের সময় যেভাবে এসএমএস পাঠিয়ে ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যায়, পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে তা নয়। এক্ষেত্রে প্রার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করার সময় যে মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন, সেই নম্বরে বোর্ড থেকে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানিয়ে দেবে। তাই ফলাফলের জন্য এসএমএস পাঠানোর প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে নিজ-নিজ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার অংশ নেন মোট ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। অর্থাৎ ফেল করেছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৪৯ জন। তাদের মধ্যে ১১টি বা সব কটি বোর্ডের ১ লাখ ৯২ হাজার শিক্ষার্থী মোট ৫ লাখ ১ হাজার ২৯৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে আন্ত:শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এবার সব পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে ১৫ অক্টোবর ফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ফেল করা শিক্ষার্থীরা ওই ফল প্রত্যাখ্যান করে সবাইকে পাস করিয়ে দেয়ার দাবিতে শিক্ষা বোর্ড ভাঙচুর চালান। সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করেন। এদিকে বোর্ডের বেঁধে দেয়া সময়সূচি অনুযায়ী ফেলকারীরা খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন করেন। ৫ লাখেরও বেশি খাতা চ্যালেঞ্জের ঘটনা এইচএসসিতে কোনো একক শিক্ষাবছরের রেকর্ড বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।