কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা দ্রুত শেষ করা ও স্বস্তির পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ দাবি জানানো হয়।
ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ ড. মো. শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে এ সভায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী একটি মহলের নজিরবিহীন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়ক্ষতির তীব্র নিন্দা জানানো হয়। নিহতদের আত্মার মাগফিরাতও কামনা করেন তারা।
সভায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অতিদ্রুত অসমাপ্ত এইচএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন এবং স্বস্তির পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানানো হয়। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের আত্মঘাতী ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সচেতন দেশবাসীর প্রতি সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন আর সংঘটিত অস্থিরতায় থমকে যায় পুরো দেশ। সংঘাত-সহিংসতায় পুরো দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ১৮ জুলাই থেকে পহেলা আগস্ট পর্যন্ত চলমান এইচএসসি ও সমমানের আটটি বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
কোভিডের ধকলে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় এমনিতেই এপ্রিলের এইচএসসি পরীক্ষা এবার শুরু হয়েছে জুনের শেষে। তার ওপর একমাস পার হলেও, এখনও অধিকাংশ বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। তাহলে কবে শেষ হবে পরীক্ষা- তা নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কপালে।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলছেন, ১১ আগস্টের পর ক্রমান্বয়ে অনুষ্ঠিত হবে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো। স্থগিত পরীক্ষাগুলো নিতে যতদিন সময় লাগবে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে ততদিন দেরি হবে।