বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি বিদেশি চক্র ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করতে চায়। সেই চক্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলিক কাহিনী প্রচার করছে। বিশেষ করে ঠাকুরগাঁওয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের খবর সম্পূর্ণ গুজব, সাজানো নাটক।
আজ বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের তাতীপাড়াস্থ নিজ বাস বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে যে ব হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। ধর্মীয় কোনো ইস্যুতে এই হামলা-ভাঙচুর হয়নি। ৫ আগস্টের পর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্মীয় সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও রাণীশংকৈল সীমান্তে কতিপয় সংখ্যালঘু নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে চেয়েছিল একটি গোষ্ঠী, কিন্তু সফল হতে পারেনি।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, মানুষ যখন পালিয়ে যাবে কমপক্ষে তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে যাবে। কিন্তু ঠাকুরগাঁও সীমান্তে যারা গেছিল তাদের সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্য ছিল না। তাদের উদ্দেশ্য পালিয়ে যাওয়া, ওপারে জানানো যে এপারে লোকজনের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তাদের নাটক ধরা পড়ে গেছে।
বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে যদি কাউকে নির্যাতন, চাঁদাবাজি, দখলবাজির প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাকে তাৎক্ষণিক দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, পৌর বিএনপির সভাপতি পয়গাম আলী, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মহেবুল্লাহ আবু নূর।
পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া জেলা বিএনপির কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং নেতা-কর্মীদের মেরামতের পরামর্শ দেন।