একটি যথোপযুক্ত জাতীয় শিক্ষা কমিশন সময়ের দাবি - দৈনিকশিক্ষা

একটি যথোপযুক্ত জাতীয় শিক্ষা কমিশন সময়ের দাবি

মো. শহীদুল ইসলাম, দৈনিক শিক্ষাডটকম |

রসায়ন শাস্ত্রে বলা হয়ে থাকে, একটি দেশ শিল্পে কতোটুকু উন্নত তা ঐ দেশের সালফিউরিক এসিড ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে। একটি দেশ বছরে যতোবেশি সালফিউরিক এসিড ব্যবহার করে সে দেশকে ততোবেশি শিল্পে উন্নত ধরে নেয়া হয়। ঠিক একইভাবে যে জাতি যতোবশি শিক্ষিত, সেই জাতি ততবেশি উন্নত। একটি দেশকে সাফল্যের সোপানে পৌঁছাতে হলে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প নাই। 

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৬ টি কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা দিলেও শিক্ষা কমিশনের কোনো ঘোষণা তিনি দেন নি। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা, শিক্ষার্থীরা একটি কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে এক দফা আন্দোলনের ডাক দেন। এই আন্দোলনে  শিক্ষা ও শিক্ষার্থী ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। শিক্ষা বিষয়ক কমিশন না হওয়ায় মুক্তিকামী শিক্ষার্থীরা মনোক্ষুণ্ন হয়েছে বলে প্রতীয়মান। বাংলাদেশে বর্তমানে চারটি স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। প্রাথমিক শিক্ষা ( প্রি-প্রাইমারী থেকে পঞ্চম শ্রেণি), মাধ্যমিক শিক্ষা( ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত), উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি) এবং উচ্চ শিক্ষা।

বিভিন্ন সময়ে শিক্ষারস্তর সমূহ কমিয়ে আনার কথা থাকলেও বাস্তবায়িত হয়নি।  একটি দেশকে সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর করতে গেলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদেরকে নিয়ে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করে সকল স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কমিশন গঠন করা সময়ের দাবি। বিশ্বমানের নাগরিক গড়ে তুলতে চাইলে বিশ্বমানের শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আমি যেহেতু বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াই এবং মাধ্যমিক স্তরের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে সেইক্ষেত্রে কিছু জরুরি বিষয় শেয়ার করতে পারি। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে গেলে শিক্ষকদের মানোন্নয়ন অতীব জরুরি। বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ৯৭ ভাগ শিক্ষক বেসরকারিভাবে নিয়োগকৃত। তাদের যে বেতন কাঠামো সেই বেতন কাঠামোতে কখনো মান সম্মত শিক্ষক পাওয়া প্রায় সম্ভব নয়। সরকারি ও বেসরকারি স্কুল এবং কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে যে বেতন বৈষম্য তার লাগাম টানা হোক খুব শীঘ্রই। ছাত্রজনতা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে নতুন সম্প্রীতির দেশ গড়তে যাচ্ছে। এই বৈষম্যহীন বাংলাদেশে শিক্ষকদের বেতন কাঠামোয় যেনো আর কোনো বৈষম্য না থাকে সেটা সব শিক্ষকের প্রাণের দাবি। শিক্ষকরা তাদের প্রাপ্য সম্মান ফিরে পেলে তারা নতুন উদ্যোমে কাজ করার স্পৃহা পাবে, যা একটি দক্ষ জাতি গঠনে সহায়ক হবে। শিক্ষকরাও যাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন, সে লক্ষ্যে শিক্ষার্থী কর্তৃক ‘শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা’ যুক্ত করতে হবে। 

দক্ষ চালক ছাড়া গাড়ি চালানো যেমন নিরাপদ নয় ঠিক তেমনি দক্ষ শিক্ষক ছাড়া বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়৷ বিপিএসসির মতো একটি স্বতন্ত্র শিক্ষক কমিশন গঠনের মাধ্যমে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে যদি দক্ষ ও প্রাজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যেতো তাহলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নিতেন। যার মাধ্যমে খুব সহসা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতো বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বাংলাদেশ ২.০ তে শিক্ষকতা হোক সবচেয়ে আকর্ষণীয় পেশা এবং শিক্ষক হওয়া হোক সবচেয়ে কঠিন । ইংরেজিতে একটি কথা আছে,  ‘A good education can change anyone, A good and skillfull teacher can change everything.’ 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষা ও গবেষণার মান বৃদ্ধি, বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে আন্তর্জাতিক উপায়ে শিক্ষক নিয়োগ করা যেতে পারে। আপগ্রেডেশন , যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন, অটোমেশনের মাধ্যমে রেজাল্ট প্রস্তুত ও সংরক্ষণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সার্টিফিকেট ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ, আর্থিক সব লেনদেন অটোমেশনের মাধ্যমে করা, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি সহজীকরণ, চুক্তিভিত্তিক বিশ্বমানের বিদেশি শিক্ষক এবং গবেষক নিয়োগ, আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সিমফোজিয়াম এবং কনফারেন্স আয়োজন ইত্যাদি বহু বিষয়ে সুষম ও সমন্বিত নীতিমালা তৈরি করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য এই কমিশন কাজ করলে ভালো সুফল পাওয়া যেতে পারে। 

২০২২ খ্রিষ্টাব্দের  ৩০ মে থেকে ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শিক্ষার একটি রূপকল্প নিয়ে এবং শিক্ষাব্যবস্থায় বড় রকমের পরিবর্তন এনে পাস হয় নতুন শিক্ষানীতি–২০২২। এতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়া হয়। নতুন এই শিক্ষাক্রমে এখনকার মতো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ার কথা। শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো।  একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো।  প্রতি বর্ষ শেষে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিলো। এরপর এই দুই পরীক্ষার ফলের সমন্বয়ে এইচএসসির চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করার কথা। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণি পর্যন্ত অভিন্ন সিলেবাসে পড়ার কথা ছিলো। আর শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক না বাণিজ্য বিভাগে পড়বে, সেই বিভাজন হওয়ার কথা একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে। নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০ ধরনের শেখার ক্ষেত্র ঠিক করা হয়েছিলো। এগুলো হলো ভাষা ও যোগাযোগ, গণিত ও যুক্তি, জীবন ও জীবিকা, সমাজ ও বিশ্ব নাগরিকত্ব, পরিবেশ ও জলবায়ু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। প্রাক-প্রাথমিকের শিশুদের জন্য আলাদা বই থাকার কথা ছিলো না, শিক্ষকদেরই শেখানোর কথা ছিলো। বরাবরের মতো দুষ্টচক্রটির চূড়ান্ত পদক্ষেপ ছিলো ধর্মীয় শিক্ষাকে পাঠ্যসূচি থেকে স্থায়ীভাবে বাদ দেয়া। চক্রটি এ পর্যায়ে এসে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শতভাগ সফল হয়েছিলো। ফলে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের নতুন শিক্ষাক্রমের সিলেবাস থেকে ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’কে বাদ দিয়েই তবে ক্ষান্ত হয়। কিন্তু ৫ আগস্ট ২০২৪ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে ৮ আগস্ট অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। অন্তবর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, আপাতত পুরাতন কারিকুলামে ফেরত যাওয়া হবে এবং এমনভাবে যাওয়া হবে যেনো শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কিন্তু নতুন কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। যা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহলে অতীব পীড়ার বিষয়। 

একটি জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠে সে জাতির সমাজ-সংস্কৃতি, বোধ-বিশ্বাস এবং বাস্তবতা ও প্রয়োজনবোধের ওপর ভিত্তি করে। তবেই সে শিক্ষাব্যবস্থা জাতির জাগতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির আদর্শ সোপান হিসেবে কাজে আসে। আগামীর বাংলাদেশে যেনো একটি বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয় এবং বেকার তৈরির কারখানাসমূহের জরুরিভিত্তিতে আশু পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হয়। 

২০২১ খ্রিষ্টাব্দে পিএসসির আদলে স্থায়ী জাতীয় শিক্ষা কমিশন করা কথা বলা হয়। এ কমিশনের কাজ হওয়ার কথা ছিলো সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া। কিন্তু এই ‘জাতীয় শিক্ষা কমিশন’ এখনো আলোর মুখ দেখেনি। 

বর্তমানে সরকারি কলেজ ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় পিএসসির মাধ্যমে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে এক সময় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ছিলো। স্কুল কমিটি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালীদের চাপে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হতো। এ নৈরাজ্য বন্ধ করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গঠন করা হয়। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হলেও, এতে অধিকতর স্বচ্ছতা আনতে এ কমিশন গঠন করার কথা ছিলো । এ কমিশন গঠিত হলে ‘জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন সব ধরনের শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা জাতীয় শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে। সেজন্য নতুন জাতীয় শিক্ষা কমিশন যেনো সময়ের মহা দাবি। 

এক নজরে শিক্ষা কমিশনসমূহ

বৃটিশ আমল :

১. লর্ড ম্যাকল-এর নিম্নগামী পরিস্রবণ বা ‘চুইয়ে পড়া শিক্ষানীতি’–১৮১৩। ২. উইলিয়াম অ্যাডাম শিক্ষা কমিশন–১৮৩৫ ৩. উড-এর ডেসপ্যাচ–১৮৫৪। ৪. উইলিয়ম হান্টার শিক্ষা কমিশন–১৮৮২
৫. লর্ড কার্জন-এর শিক্ষা সংস্কার সম্মেলন–১৯০১। ৬. মাইকেল স্যাডলার কমিশন–১৯১৭।
৭. সার্জেন্ট কমিশন–১৯৪৪

পাকিস্তান আমল :

১. মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ শিক্ষা কমিশন–১৯৪৯। ২. আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশন–১৯৫৭। ৩. এসএম শরীফ শিক্ষা কমিশন–১৯৫৮। ৪. হামিদুর রহমান ছাত্র সমস্যা ও ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক কমিশন–১৯৬৪। ৫. নূর খান শিক্ষা কমিশন–১৯৬৯। 

স্বাধীন বাংলাদেশ : 

১. কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন–১৯৭২। ২. জাতীয় কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়ন কমিটি–১৯৭৬। ৩. জাতীয় শিক্ষা উপদেষ্টা কমিটি–১৯৭৮। ৪. মজিদ খান শিক্ষা কমিশন–১৯৮৩। ৫. মফিজউদ্দীন আহমদ শিক্ষা কমিশন–১৯৮৭। ৬. শামসুল হক শিক্ষা কমিশন–১৯৯৭ ও জাতীয় শিক্ষানীতি–২০০০। ৭. এম.এ বারী শিক্ষা কমিশন–২০০১। ৮. মনিরুজ্জামান মিয়া শিক্ষা কমিশন–২০০৩। ৯. কবির চৌধুরী শিক্ষা কমিশন–২০০৯ ও জাতীয় শিক্ষানীতি–২০১০। ১০. জাতীয় শিক্ষানীতি–২০২২ ও রূপকল্প–২০৪১।

পুরো জাতি এখন ১১ নম্বর জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠনের জন্য মুখিয়ে আছে। ধীরে ধীরে এটা যেনো হয়ে উঠেছে প্রাণের দাবি। 

লেখক: প্রভাষক( রসায়ন), মাস্টার নজির আহমদ কলেজ

 

কোটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর - dainik shiksha কোটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর - dainik shiksha এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর দুর্গাপূজায় স্কুল-কলেজ বন্ধ ১১ দিন, অফিস ৩ দিন - dainik shiksha দুর্গাপূজায় স্কুল-কলেজ বন্ধ ১১ দিন, অফিস ৩ দিন প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত: গণশিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি আসামিদের দ্রুত ফাঁ*সির দাবি জানালেন আবরারের মা - dainik shiksha আসামিদের দ্রুত ফাঁ*সির দাবি জানালেন আবরারের মা প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ৫০০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ৫০০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ভিসি হতে চান, ক্লাসে পড়াতে চান না - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ভিসি হতে চান, ক্লাসে পড়াতে চান না শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি শেখ হাসিনার পরিবারের নামে সোয়াশ কলেজ স্কুল মাদরাসা - dainik shiksha শেখ হাসিনার পরিবারের নামে সোয়াশ কলেজ স্কুল মাদরাসা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031769275665283