দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনে লিঙ্গ জটিলতার পর এবার পেমেন্ট সমস্যায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা। পেমেন্ট করলেও তাদের 'স্ট্যাটাস ফেইল্ড' দেখাচ্ছে। গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত চার লাখ ৯৪ হাজারের মতো আবেদন পরেছে। এর মধ্যে পেমেন্ট করতে পেরেছে তিন লাখ ২০ হাজার শিক্ষার্থী। এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সেই হিসেবে এখনও আবেদনের বাইরে রয়েছে সাড়ে ১১ লাখের মতো শিক্ষার্থী ।
খালিদ নামের এক ছাত্র জানায়, সে একটি আবেদন করতে সাইন আপ করে আবেদন ফি পরিশোধ করেন। বিকাশ থেকে টাকাও কেটে নেয়া হয়েছে। এখন পেমেন্ট স্ট্যাটাস দেখাচ্ছে ফি পরিশোধ হয়নি । প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিএসই বিভাগ একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রমের প্রযুক্তিগত সহায়তা করছে। তারা ভর্তি প্রক্রিয়াকরণের সফটওয়্যার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার গতকাল সন্ধ্যায় জানান, বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে চার লাখ ৯৪ হাজার মতো আবেদন পরেছে। এর মধ্যে পেমেন্ট করতে পেরেছে তিন লাখ ২০ হাজার শিক্ষার্থী।
পেমেন্টে ঝামেলা হচ্ছে- কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'না; আমরা আগে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিয়েছি। এরপর ধীরে ধীরে পেমেন্ট হচ্ছে। আজকে ভালোভাবেই আবেদন কার্যক্রম চলছে। খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।'
আবেদনের সময় দু'দিন বাড়ছে জানিয়ে তপন কুমার সরকার বলেন, এমনিতেই আবেদনের সময় ১১ জুন পর্যন্ত আছে। এই সময়ে যারা আবেদন করতে পারবে না তাদের জন্য সময় দু'দিন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
২৬ মে সকাল ৯টা থেকে অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু 'সার্ভার জটিলতায়' পরদিন দুপুরের পর এই জটিলতার কিছুটা অবসান হয়। এরপর শুরু হয় পেমেন্ট সংক্রান্ত 'সমস্যা'।
অনলাইনে www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে।
আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি নেওয়া হবে। তা চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। আগামী ৩০ জুলাই একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ২৫ লাখের মতো আসন রয়েছে। ভর্তিযোগ্য আসনের তুলনায় প্রায় আট লাখ শিক্ষার্থী কম এসএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ হয়েছে। সেই হিসেবে এসএসসি পাস করা সবাই কলেজে ভর্তি হলেও আট লাখের বেশি আসন খালি থাকবে।