এক বছরে দেশে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৩৪০ জন। এরই মধ্যে চলতি বছরেই মারা যান ৬৬ জন। মৃত্যুদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক। এসব মৃত্যু হয়েছে কৃষি জমিতে কাজ করার সময়, অথবা বৈশাখী ঝড়ে আম কুড়াতে গিয়ে। আবার বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করার সময়, এছাড়া মাছ ধরতে গিয়েও মারা গেছেন বজ্রপাতে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ) এ তথ্য জানায়। সংগঠনটি বজ্রপাতে মৃত্যু নিয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।
জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং টেলিভিশনের তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান করা হয়। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল থেকে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের মে মাস পর্যন্ত মৃত্যুর তথ্য নেওয়া হয় পরিসংখ্যানে।
পরিসংখ্যানে জানানো হয়, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল থেকে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের মে মাস পর্যন্ত বজ্রপাতে ৩৪০ জন মারা গেছেন। আর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা গেছেন ২৭৪ জন। এরমধ্যে ২৩৯ জন পুরুষ, ৩৫ জন নারী এবং শিশু রয়েছে ১২ জন।
পরিসংখ্যানে এসেছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে বজ্রপাতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৫ মার্চ। এরপর থেকে ৩ মে পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৬ জন। এরমধ্যে ৬৩ জন পুরুষ ও তিনজন নারী, আর দুজন শিশু এবং চারজন কিশোর। আহত হয়েছেন আটজন। এরমধ্যে শুধু কৃষি কাজ করতে গিয়েই ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকায় থাকা অবস্থায় বা মাছ ধরতে গিয়ে মারা গেছেন ১১ জন।
শুধু মার্চ মাসেই বজ্রপাতে মারা যান ১৫ জন। আর এপ্রিল মাসে মৃত্যু হয় ৫০ জনের। অন্যদিকে চলতি মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন একজন।
এবছর বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে সিলেটের সুনামগঞ্জে। এ জেলায় মারা গেছে সাতজন। আর সিলেট জেলায় মারা গেছে পাঁচজন।
অনুষ্ঠানে,সংগঠনের সভাপতি ড. কবিরুল বাশার বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে মাঠে মাঠে বজ্রনিরোধক টাওয়ার নির্মাণ ও দ্রুত বর্ধনশীল গাছ লাগানোর দাবি জানান।