আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় ৫টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রোববারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে মোট ৭৬টি (এর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরিচালিত ৫টি) বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় ৫টি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং ১টি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। বর্ণিত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বিএমএন্ডডিসি কর্তৃক তদারকি করা হয়। একই সাথে অধিভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তদারকি করা হয়।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১ (সংশোধিত) অনুযায়ী গঠিত কমিটির মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার মান তদারকি করা। হয়। বর্ণিত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজসমূহে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় এ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৫টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং ১টি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। ইতোপূর্বে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ পরিচালনা নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করার প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।