প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেরোরিস্টদের কোনো ধর্ম নাই, তাদের কোনো দেশ বা বাউন্ডারি নাই। টেরোরিজমই হচ্ছে তাদের ধর্ম। আমি নিজে এর ভুক্তভোগী। আমি এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করার পর শত শত হুমকির চিঠি পেয়েছিলাম। সেই চিঠিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসীরা তার পক্ষ হয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান এমনকি বৌদ্ধও ছিল। আমি অবাক হয়ে গেলাম যে এটা কি ধরনের! সেইদিন থেকেই বুঝলাম এদের আসলে কোনো ধর্ম নাই।
রোববার (১৩ আগস্ট) জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ আমাদের ধর্মের মানইজ্জতটা রক্ষা করবেন। কেউ যেন বিপথে না যায়। একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত যারাই কাজ করছেন, কার ছেলে-মেয়ে কোথায় কার সঙ্গে মেশে, কোথায় যায় এগুলো দেখতে হবে। এই যে ইসলামের নামে বদনাম, সেটা ঘোচাতে হবে। সামান্য মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তির ধর্ম ইসলাম, তার সঙ্গে কেন সন্ত্রাসী নাম যুক্ত হবে?
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস নির্মূল করার ক্ষেত্রে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা যার যার ধর্ম সে সে পালন করব। যেটা আমাদের নবী করিম (সা.)-এর শিক্ষা। আমরা সেই শিক্ষা নিয়েই চলব। বিচার তো আল্লাহ করবেন। কাজেই কে ভালো মুসলমান, কে খারাপ মুসলমান; কে হিন্দু, কে খ্রিস্টান এগুলো আমাদের দেখার বিষয় না। যার যার কর্মফল সে সে ভোগ করবে।