ঝালকাঠিতে ঝুঁকি থাকার কারণ দেখিয়ে বিস্ফোরিত সেই ট্যাংকারের কয়েক লাখ লিটার তেল এখনো অপরসারণ করা হয়নি। ডুবে যেতে বসা ট্যাংকারটির তলা ফেটে পানি উঠছে। দুই দফা বিস্ফোরণ, আগ্নিকাণ্ড বা ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো কোনো মামলাও হয়নি।
দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণের তিন দিন কেটে গেলেও সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরিত তেলের ট্যাংকার সাগর নন্দিনীর অবশিষ্ট প্রায় ৪ লাখ লিটার জ্বালানি তেল উদ্ধারে এখনো কোনো তৎপরতা শুরু হয়নি। ট্যাংকারটির তলা ফেটে এবং বিভিন্ন স্থানে লিকেজ হওয়ায় নদীতে ডুবে যাওয়া ঠেকাতে চলছে পানি অপসারণ।
গতকাল বুধবার বিকেল থেকে দুটি বাল্কহেড বসিয়ে পাম্পমেশিন দিয়ে পানি সরানো হচ্ছে। ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. ফিরোজ কুতুবী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ট্যাংকারটিতে থাকা অবশিষ্ট তেল অপসারণে ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষা নিরিক্ষা ও নির্দেশনা ছাড়া তা এখনই অপরসরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ট্যাংকারটিতে পানি উঠে যাতে ডুবে না যাতে পারে সে ব্যাপারে তৎপরতা অব্যহত আছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার কোনো অভিযোগ পাইনি।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে সাগর নন্দিনী-২ নামের এ ট্যাংকারটিতে প্রথমবারের বিস্ফোরণে ৪ জন মারা যান। ৩ জুলাই তৃতীয় দিনে এসে আবারো দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণে ১১ ঘন্টা ধরে ট্যাংকারটিতে আগুন জ্বালতে থাকে। এতে পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছিলেন।