শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন করার যোগ্যতা ও বয়স কিছুই নেই তবু তারা দাবি করছেন আজ এবং এখনই তাদেরকে নিয়োগ দিতে হবে। এমন উদ্ভট দাবি নিয়ে গতকালের মতোই আজ বৃহস্পতিবারও অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন সরকারি অফিস ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। তারা জানান, অফিসের কলাপসিবল গেটের বাইরে থেকে অফিসের সবাইকে অশ্লীল গালমন্দও করছেন শিক্ষক পদে জোরপূর্বক নিয়োগপ্রত্যাশী তিনশ জনের মতো নারী-পুরুষ। পুলিশের সাহায্য কামনা করেও পাচ্ছেন না বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন অবরুদ্ধ এনটিআরসিএর কর্তারা। আজ সকাল নয়টার দিকে একদল নারী-পুরুষ এনটিআরসিএ অফিসের প্রধান ফটকে তালা মেরে দেয়। গতকাল বুধবারও প্রায় ছয় ঘন্টা এনটিআরসিএর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন তারা। রাজধানীর ইস্কাটনের এই অফিসটিতে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
গত দুই সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও সচিবকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। সেই হিসেবে বলতে গেলে প্রতিষ্ঠানটি অভিভাবকহীন। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদকেও বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচছুক এনটিআরসিএ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানিয়েছেন, অবরোধকারীদের কাছে থাকা নিবন্ধন সনদ মানেই চাকরির নিশ্চয়তা না। তাদের সনদ মানে শিক্ষক পদে আবেদন করার যোগ্যতা মাত্র। কিন্তু তারা সরাসরি নিয়োগ চাইছেন, যেটা এনটিআরসিএর এখতিয়ার ও বিদ্যমান আইন বহির্ভূত। তাদের বয়সও চল্লিশ-পঞ্চাশের বেশি। কোনো ভাবেই তারা নিয়োগ পেতে পারেন না। তারা সবাই ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া সনদধারী।
কর্মকর্তারা জানান, কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ তারা এনটিআরসি অফিসে এসে গেট বন্ধ করে রাখে । বাইরে থেকে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে চলে যান বহিরাগতরা। সকাল এগারোটা থেকে কেউ অফিস থেকে বের হতে বা বাইরে থেকে ঢুকতে পারেননি। অফিসের মেইন গেটে তারা অবস্থান করছেন। অথচ শিক্ষক পদে নিয়োগের কোনো যোগ্যতাই নেই। বহু বছর আগে তাদের সনদের মেয়াদ ও বয়স (৩৫) পার হয়ে গেছে। তাছাড়া তাদের সনদ শুধু আবেদন করার যোগ্যতার, সরাসরি চাকরির জন্য নয়। তবুও তারা গত ৫ আগস্টের পর বেশ কয়েকবার এসে অফিসে ঝামেলা করেছেন।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ।