পাঠ্যবই ছাপার কাজে অত্যাধুনিক মেশিনারির ব্যবহার সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্মরণ করিয়ে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যানসহ মোট নয় জনকে। তাদের মধ্যে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিকের মহাপরিচালক এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিতরণ নিয়ন্ত্রক ও উৎপাদক নিয়ন্ত্রক রয়েছেন। ২২ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিনের পাঠানো উকিল নোটিসটি ইতিমধ্যে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ নয়জনের কাছে পৌঁছেছে।
নোটিশে আদালতের রায় অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের ছাপার কাজে অত্যাধুনিক মেশানারি ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। পুরনো মেশিন ব্যবহার করলে ইতিপূর্বে এ সংক্রান্ত দেওয়া হাইকোর্টের রায় অমান্য করা হবে। পুরনো মেশিনের ছাপার কাজ দেওয়ার একটা উদ্যোগের প্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে ও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বই ছাপা সংক্রান্ত সব টেন্ডারে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোর লেটেস্ট টেকনোলজি থাকা ও তার ব্যবহারের বিষয়ে উচ্চ আদালতের একটা নির্দেশনা আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক উদ্যোগে সেটা বাদ দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে এই বিষয়ে কয়েকজন প্রেস মালিক একটা মামলা করেছিলেন। মামলার নং ৬০২২/২০২১। মামলার রায়ে বলা হয়েছে “পুরাতন মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা আর নতুন ও ওয়েব-বেজড লেটেস্ট মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা এক নয়।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের আগে আমদানি করা ওয়েব প্রিন্টিং মেশিনগুলো হয় পুরাতন নয়তো রিকন্ডিশনড। নতুন ওয়েব প্রিন্টিং মেশিন হলো ২০১৫ থেকে যেগুলো আমদানি করা হয়েছিলো। এসব আধুনিক মেশিন আমদানির প্রমাণক হিসেবে এল/সি ডকুমেন্ট আছে। এই অংশটি বাদ দেওয়ার উদ্যোগের খবর জানার পর মা প্রিন্ট সলিউশন এর মালিক মো. শওকত আলী খানের পক্ষ থেকে একটা লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। ইতিপূর্বে দেওয়া রায়ের এ সংক্রান্ত Clause টা বাদ দেওয়া হলে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।