দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ায় সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের নিয়ে এক সমাবেশের আয়োজন করা হলেও তা ভেস্ত গেছে। নির্বাচনী প্রচারে শিক্ষক-কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করা আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে নির্বাচন কমিশনের সেই বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও সাবেক বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা এক প্রার্থীর পক্ষে ওই সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। বই উৎসবের দিন আজ সোমবার বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসন উপস্থিত হওয়ায় তা সংক্ষিপ্ত করে শেষ করেছে। আর অজুহাত দেখিয়েছে এটা নতুন শিক্ষাক্রম বিষয়ক সমাবেশ।
তবে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকার আঞ্চলিক উপপরিচালক এ এস এম আবদুল খালেক সোমবার সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেছেন, আজকে বই উৎসবের দিনে কোথাও শিক্ষাক্রম নিয়ে সমাবেশ করার সুযোগ নেই।
সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ডেমরা ও কোনাপাড়া ক্যাম্পাসে দফায় দফায় এ ধরনের রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। মূলত একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এ ধরণের সভা সমাবেশের আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার বিকেলে কোনাপাড়া ক্যাম্পাসেও এ ধরণের এক সভা আয়োজন করা হয়। সূত্রের দাবি, এ সভায় কয়েকজন কাউন্সিলর অংশ নেন। তারা একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে শিক্ষকদের অনুরোধ জানানোই ছিলো মূল উদ্দেশ্য।
তবে, সেখানে উপস্থিত একাধিক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন যে, বিজিবির উপস্থিতি দেখে তড়িঘড়ি করে সমাবেশ শেষ করা হয়।
একে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক সমাবেশ বলছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে সমাবেশে চলছে মূলত ভোটের প্রচারণা।
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে সোমবার বিকেলে বলেন, কোনাপাড়া ক্যাম্পাসে একটি সভা চলছে। এখানে কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত আছেন। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এ সভার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে কাউন্সিলরা আলোচনা করছেন জানতে চাইলে ওই শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান মোল্লাও এসব বিষয়ে কোনো সদুত্তর দেননি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে আছি’। বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
এর আগে স্কুলে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা না নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সে নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছিলো সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ।