বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অটিজম শিশু-কিশোর কল্যাণে শিক্ষাদানের লক্ষ্যে সারাদেশে গড়ে উঠেছে দেড় শতাধিক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় এনজিও, সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো চাইছে আইনগত পূর্ণতা। এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী।
জানা গেছে, মনোবিজ্ঞানী সায়মা ওয়াজেদের সচেতনামূলক কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিএসএবিলিটি সম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্পর্কে ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি হয়। তাই সমাজবদ্ধ মানুষ এখন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজমদের জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ। ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯’ তৈরি করা হয়। প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি করে বিশেষ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে আর স্কুল হবে সুবিন্যস্ত ও প্রতিবন্ধী বান্ধব- এ ঘোষণার পরপরই সারাদেশে গড়ে উঠতে থাকে হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে জমা আছে প্রায় ৩ হাজার আবেদন। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তির বিষয়টি সুরহা হয়নি। হাজরো শিক্ষক কর্মচারী এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছেন।
সোনাতলা উপজেলার তেকানী আব্দুল মান্নান বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিজিএসএস চেয়ারম্যান মো. ছাইফুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী মানসম্পন্ন বাছাইকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করে দেবেন।
বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী জানান, এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। প্রায় একই রকম কথা বলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবু সাঈদ মো. কাওছার রহমান। এমপিও ও শিক্ষার্থীর আর্থিক সাহায্য সহযোগিতার সবটুকুই হয় মন্ত্রণালয় থেকে।
সোনাতলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাঈদা পারভীন জানান, শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে কোনো ধরনের প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন সাধ্যমতো সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।