এমপিওভুক্তির দাবিতে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষকদের কান্না - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওভুক্তির দাবিতে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষকদের কান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এমপিওভুক্তির দাবিতে রাজধানীর নিউ বেইলি রোডে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নতুন শিক্ষকরা। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কিন্তু টনক নড়েনি মাদরাসা অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে তারা এ মানববন্ধন করেন। এক পর্যায়ের গাইড হাউস চত্ত্বরে প্রবেশ করে অবস্থান নিয়ে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির দাবি জানান। পরে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে গাইড হাউস চত্ত্বরে অবস্থানরত নতুন শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আসেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের পরিদর্শক শহীদ লতিফ। এসময় শিক্ষকরা তাদের দুর্দশার কথা তাকে খুলে বলতে থাকেন। শিক্ষকদের দুর্দশার চিত্র স্তম্ভিত করে দেয় ওই কর্মকর্তাকে। এক পর্যায়ে এমপিওভুক্তির দাবিতে কান্না শুরু করেন পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নতুন শিক্ষকরা। 

এসময় শিক্ষকরা পঁয়ত্রিশোর্ধ্বদের এমপিও জটিলতার জন্য মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মেমিস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়ী বলে অভিযোগ করেন। শিক্ষকরা বলেন, মেমিস যখন পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষকদের আবেদন বাতিল করেছে তখন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরও তাদের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। এসময় কান্নায় ভেঙে পরেন শিক্ষকরা। 

শিক্ষকরা বলেন, উত্তরবঙ্গে বাড়ি হলেও দক্ষিণবঙ্গে নিয়োগ পেয়েছি। অনেকেই নিজ বাড়ি থেকে দূরে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন। এখনো এমপিও না হলে কিভাবে জীবন কাটাবো। সামনে রমজান ও ঈদ। কিভাবে এ সময়টা সংসার চালাবো। 

পরে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা শিক্ষকদের কাছে তালিকা চান। শিক্ষকরা এনটিআরসিএ থেকে তাদের তালিকা সংগ্রহের কথা বলেন। 

কর্মকর্তার সঙ্গে কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে আন্দোলনরত নতুন শিক্ষকরা বলেন, তিনি জটিলতায় পরা শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছেন। কিন্তু আমরা সুস্পষ্টভাবে তথ্য দিতে পারবো না, দিলেও ভুল হবে। এজন্য তাদের উচিত এনটিআরসিএ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। আমরা বিষয়টি কর্মকর্তাদের বলেছি। 

শিক্ষকরা বলছেন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন জারি করা এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণ করা হয়। এরপর থেকে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী প্রার্থীরা শিক্ষক পদে সুপারিশ পাচ্ছিলেন না। পরে প্রার্থীরা আইনি লড়াইয়ে নামেন। হাইকোর্ট এসব প্রার্থীকে বয়সশিথিলের পক্ষে রায় দিলে আপিল করে এনটিআরসিএ। সর্বশেষ আপিল বিভাগের একটি রায়ে বয়স নির্ধারণ করে ওই এমপিও নীতিমালা জারির আগে নিবন্ধন সনদ অর্জন করা প্রার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সশিথিল রাখার নির্দেশনা আসে। সে অনুযায়ী ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুনের আগে যারা নিবন্ধন সনদ অর্জন করেছেন তাদের বয়সশিথিল করে আবেদন নেয়া হয়। এসব প্রার্থীকে শিক্ষক পদে সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের কপি না পাওয়ার অযুহাত দেখিয়ে অনেক প্রার্থীরই এমপিওভুক্তি বাতিল করে দেয়া হচ্ছে। 

পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নতুন শিক্ষকরা বলেন, পরপর দুই মাস মাদরাসা শিক্ষকদের ফাইল রিজেক্ট করে দেয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদেরও ফাইল রিজেক্ট হয়েছে। জাতীয় মেধাতালিকা অনুসারে নিয়োগ সুপারিশ করায় অনেক শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী প্রার্থীরা শিক্ষক হতে আবেদনের সুযোগ পেলেও এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। দূর দূরান্তের প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাস নিলেও এমপিওভুক্ত হতে না পেরে আর্থিক জটিলতায় পড়েছেন। তাদের জন্য অন্য এলাকায় থেকে শ্রেণিকার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই তারা জটিলতা নিরসনে দাবি জানিয়েছেন।  

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অফিস চলবে ৯টা-৩টা - dainik shiksha রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অফিস চলবে ৯টা-৩টা দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী এইচএসসির উত্তরপত্র জমা নিচ্ছে না বোর্ড - dainik shiksha এইচএসসির উত্তরপত্র জমা নিচ্ছে না বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত শিগগিরই - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত শিগগিরই মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল - dainik shiksha মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল তিন সমন্বয়ক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে ডেকে নেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী - dainik shiksha তিন সমন্বয়ক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে ডেকে নেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057802200317383