এমপিও নীতিমালার শর্ত শিথিল করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
একই দাবিতে আগামীকাল বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০২২ থ্রিষ্টাব্দে কোনো আবেদন নেয়া হয়নি। ২০২৩ চলে যাচ্ছে, যদিও আবেদন নেয়ার কথা ছিলো কিন্তু এখন পর্যন্ত তা নেয়া হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে যদি আবেদন না নেয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারে না। গত ১৪ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে নন-এমপিও শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা চিন্তা করে বিশেষ বিবেচনায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছেন।
আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী। তাই নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর সকল শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন, যোগ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মো. মনিমুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, মো. জহুরুল ইসলাম রাজু, এরশাদুল হক, অধ্যক্ষ বাকিবুল্লাহ, ফরহাদ হোসেন বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান সিরাজ, হাবিবুর রহমান বাবুল, বাবুল আক্তার, নাঈম হোসেন, সুপার তরিকুল ইসলাম, প্রভাষক নুরুল আমিন নওয়াব, খায়রুল ইসলাম, প্রভাষক শামসুন্নাহার, প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন খান প্রমুখ।