উচ্চ আদালতের নির্দেশ ও আপিল আরবিট্রেশন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহাল না করায় ফেঁসেছেন মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার রাজিবপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শীর্ষ কর্তা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের এমপিও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে সভাপতিকে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক রাহেনুল ইসলামকে বরখাস্ত করার পর তিনি রিট পিটিশন করেছিলেন। সে রিটের আদেশ ও বোর্ডের আপিল অরবিট্রেশন কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় তাকে পুনর্বহালের। সে অনুযায়ী, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ওই শিক্ষককে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছিলো। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার শোকজ করেছিলো ঢাকা বোর্ড। কিন্তু তিনি সন্তোষজনক জবাব দেননি। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ও ২৭ এপ্রিল ঢাকা বোর্ড থেকে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো চিঠিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও সে নির্দেশনার প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করার জন্য সভাপতিকে অপসারণ করার নির্দেশ দেয়া হলো। একই কারণে প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের বেতনভাতার সরকারি অংশ বন্ধ করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ওই সহকারী শিক্ষককে পুনর্বহাল প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে আমার একার পক্ষে সম্ভব না। প্রতিষ্ঠানের সবার সিদ্ধান্ত নিয়ে করতে হতো। কিন্তু মন্ত্রণালয় আমার এমপিও বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে রিট চলমান আছে।
জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে আছেন আশরাফুল আলম সিদ্দিকি। প্রধান শিক্ষক জানান, গত অক্টোবর মাসে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন আশরাফুল আলম সিদ্দিকি।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আশরাফুল আলম সিদ্দিকির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।