এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ অবশ্যই ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটির) মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ইএফটিতে বেতন পাঠাতে যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই শেষ হলে ইএফটিতে বেতন পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সম্প্রতি দৈনিক আমাদের বার্তার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ইএফটি বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপরিচালক আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে সবাই ডিজিটাল সুবিধা পাবেন, কিন্তু শিক্ষকদের চেক-বিল নিয়ে ব্যাংকে-ব্যাংকে ঘুরতে হবে- এটা হতে পারে না। অবশ্যই তাদের বেতন ইএফটিতে হবে। সারাদেশের শিক্ষকদের তথ্য নিয়ে কাজ চলছে। তাই তথ্য যাচাইয়ে কিছুটা সময় লাগছে। আর বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। তাদের সঙ্গেও সমন্বয় করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয় সব সরকারি লেনদেন ইএফটির মাধ্যমে করতে চায়। ইতোমধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ইএফটিতে পাঠানো শুরু হয়েছে। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিষয়টিও বাস্তবায়ন হবে। তবে তথ্য যাচাই বাছাই ও প্রক্রিয়াগত কারণে সময় লাগছে। তবে, কবে নাগদ শিক্ষকদের বেতন ইএফটিতে পাঠানো শুরু হবে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি মহাপরিচালক।
জানা গেছে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের এক সভায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন ইএফটিতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইএফটিতে এমপিওর টাকা দিতে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য সংগ্রহ করে অধিদপ্তর।
তবে সে বছরের জুন মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে কর্মরত একজন অতিরিক্ত সচিব পদোন্নতি পেয়ে সচিব পদমর্যাদায় অন্য দায়িত্বে চলে যান। তারপর ইএফটিতে এমপিও শিক্ষকদের বেতন দেয়ার উদ্যোগ ঝুলে যায়। তবে সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ইএফটিতে বেতন পেতে উন্মুখ হয়ে আছেন।
বর্তমানে ত্রিশ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত সাধারণ হাইস্কুল-কলেজ ও মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) টাকা হাতে পেতে চার দশকের পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। তিনটি অধিদপ্তর থেকে এমপিওর খবর জানতে শিক্ষকদের নির্ভর করতে হয় শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম ও শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সরকারি ওয়েবসাইট। এমপিওর চেক ছাড়ের খবর প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে অধিদপ্তরগুলো থেকে চিঠি পাঠানো হয় তথ্য অধিদপ্তর এবং পত্র-পত্রিকায়।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।