এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সাড়ে ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে সরকার। এদের মধ্যে ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। মেধা ও সাধারণ বৃত্তি দিতে বোর্ড ভিত্তিক কোটা বণ্টন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ৮ আগস্টের মধ্যে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে বৃত্তির গেজেট প্রকাশ করতে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে বলা হয়েছে। জিটুপি বা ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) অধিদপ্তর থেকে বোর্ডগুলোতে পাঠানো বৃত্তি কোটা বণ্টনের আদেশটি প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঢাকা বোর্ডের ৯০২ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ৫ হাজার ৬৪০ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ বোর্ডের ২৪২ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ৭০৮ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, রাজশাহী বোর্ডের ৫১৩ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ৩ হাজার ৭২ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, কুমিল্লা বোর্ডের ২২২ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ২ হাজার ৪১৪ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, সিলেট বোর্ডের ১০০ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ২৩৬ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, বরিশাল বোর্ডের ১১২ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ৩৯৫ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, যশোর বোর্ডের ৩৭৮ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ২ হাজার ৫৩০ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, চট্টগ্রাম বোর্ডের ১১৯ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ৯৯০ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি এবং দিনাজপুর বোর্ডের ৩৩২ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ২ হাজার ৫১৫ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। এভাবেই বৃত্তি কোটা বণ্টন করে বোর্ডগুলোকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, মেধাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মাসিক ৬০০ টাকা ও বছরে এককালীন ৯০০ টাকা দেয়া হবে। আর সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩৫০ টাকা এবং বছরে এককালীন ৪৫০ টাকা দেয়া হবে। বৃত্তির টাকা রাজস্ব বাজেটের বৃত্তি-মেধাবৃত্তি খাত থেকে নির্বাহ করা হবে।
অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দেয়া হবে। বোর্ডের আওতাধীন প্রতি উপজেলার দুইজন ছাত্র ও দুইজন ছাত্রীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। আর মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতিটি থানাতে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রীকে এলাকা কোটা অনুসারে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে।
বৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সাত দিনের মধ্যে তফসিলভুক্ত ব্যাংকে অনলাইন সুবিধা সম্পন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে তার তথ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিতে বলা হয়েছে।