মাদারীপুরে সাবেক এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পারিবারিক একটি কবরস্থানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর এলাকাজুড়ে সমলোচনার ঝড় বইছে।
অভিযুক্তের নাম সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম। তিনি মাদারীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ।
সদর উপজেলার উত্তর ঝিকরহাটি এলাকায় দাউদ আলী মীরার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এতে করবস্থানের চারপাশের বাঁশের বেড়ার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কবরস্থানের মৃতদের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, দাউদ আলী মীরা ও তার পরিবার ওমরাহ পালনে ৬ মাস আগে সৌদিআরব চলে যান। তারা গত রোববার দেশে ফেরেন।
শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে সবাই পারিবারিক কবরস্থানে নিহতদের স্মরণে জিয়ারত করতে যান। এ সময় আগুন লাগানোর বিষয়টি নিশ্চিত হন তারা।
দাউদ আলী মীরা ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, প্রতিবেশী সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম প্রতিহিংসার জেরে এই আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া কবরস্থানে নোংরা ও ময়লা ফেলারও অভিযোগও তুলেন তারা।
কবরস্থানের জায়গার মালিকানা দাবি করা দাউদ আলী মীরা বলেন, আমার বাবা-মা, দাদা-দাদি ও ছোট বোনের কবরস্থানে কেন আগুন দিল? আমি প্রধানমন্ত্রীসহ মাদারীপুরের এসপি ও ওসির কাছে বিচার চাই। সাবেক ওই অধ্যক্ষ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এমন অন্যায় কাজ করেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, মীরাবাড়ির দাউদ আলী মীরার পারিবারিক কবরস্থানে সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম আগুন দিয়েছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার কামনা করছি।
অভিযোগের বিষয়ে মাদারীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকা ও আশপাশের বেশ কয়েকজনের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশী দাউদ আলী মীরা ও এলাকার লোকজন মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে। আমি কিংবা আমার পরিবার এই ঘটনার সাথে জড়িত নই।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।