মাদরাসায় প্রিন্টারসহ কম্পিউটার না থাকলে আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক-প্রভাষক ও অফিস সহকারীর দুইটি কর্মচারী পদে জনবল নিয়োগ দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে যেসব মাদরাসায় কম্পিউটার নেই সেগুলোর জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে বা পরিচালনা কমিটি, স্থানীয় প্রশাসন বা সাধারণ জনগণের সহযোগিতায় প্রিন্টারসহ কম্পিউটারের ব্যবস্থা করার নির্দেয়া দেয়া হয়েছে।
অনেক মাদরাসা প্রধানই শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির কাজ বিভিন্ন দোকানের কম্পিউটার থেকে করান। ফলে নষ্ট হয় গোপনীয়তা। নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির
সব এমপিওভুক্ত মাদরাসার অধ্যক্ষ ও সুপারকে এসব নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আদেশটি প্রকাশ করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, প্রায় সব মাদরাসাতেই মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় সব মাদরাসায় আইসিটি প্রভাষক-সহকারী শিক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। তা থাকা সত্ত্বেও পরিদর্শনের সময় দেখা গেছে, অধিকাংশ মাদরাসায় দাপ্তরিক কাজে যেমন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, রেজুলেশন তৈরি, হিসাব সংরক্ষণ, কোন বিষয়ে আবেদন, অনলাইন এমপিও আবেদন, সংশোধনী আবেদন ইত্যাদির কাজ মাদরাসায় না করে বাজারে বা দোকানে গিয়ে করেন। ফলে মাদরাসার দাপ্তরিক গোপনীয়তা বিঘ্নিত হয়। বিভিন্ন ডকুমেন্টসের জাল-জালিয়াতির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এধরণের জাল-জালিয়াতির কারণে অনেক মাদরাসার অধ্যক্ষ, সুপার ও শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিল ও সাময়িক স্থগিত করতে হচ্ছে।
গত ২৩ জুলাই জারি করা আদেশে মহাপরিচালক আরো বলেন, অনেক মাদরাসায় আইসিটি শিক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী কর্মরত থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের আইসিটি বা কম্পিউটার বিষয়ক পাঠদান বা অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য প্রিন্টারসহ কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই।
এসব জটিলতা এড়াতে মাদরাসাগুলোকে চার দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এগুলো হলো, গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি বা স্থানীয় জেলা পরিষদ-উপজেলা পরিষদ বা স্থানীয়
জনগণের সহায়তায় অথবা মাদরাসার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রিন্টারসহ কমপক্ষে একটি কম্পিউটারের ব্যবস্থা করতে হবে। মাদরাসায় প্রিন্টারসহ কম্পিউটার না থাকলে এখন থেকে আইসিটি প্রভাষক-সহকারী শিক্ষক বা অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর বা অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারীর শুণ্যপদে নিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। মাদরাসার দাপ্তরিক কাজ বাজারে বা দোকানের কম্পিউটার থেকে করা যাবে না। আর মেমিস অনলাইন সিস্টেমে এমপিও আবেদনসহ অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য দেয়া পাসওয়ার্ড অধ্যক্ষ-সুপার ছাড়া অন্য কারো কাছে থাকা যাবে না।অধিদপ্তর আরও বলছে, এমপিওর পাসওয়ার্ড অন্য কোনো ব্যক্তি বা দোকানদারের কাছে থাকলে অধ্যক্ষ-সুপারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষার সব খবর সবারআগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।