দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: উত্তরের হিম বাতাসে আড়মোড়া ভাঙছে সূর্য। ভোরের শিশির ভেজা প্রকৃতি। অগ্রহায়ণের শুরুতেই কুয়াশা মোড়া চারপাশ। ঋতু চক্রে শীতের আগমন বার্তা আসে নভেম্বরেই। এরই মধ্যে তেতুলিয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও সিলেটে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এ মৌসুমে শীত কম অনুভূত হতে পারে। সেজন্য নভেম্বর-ডিসেম্বরে যতটা ঠান্ডা পড়ার কথা, তার চেয়ে কম পড়তে পারে শীত। গত তিন মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সঙ্গে আসা জলীয় বাষ্পও রয়ে গেছে দেশজুড়ে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে আসা জলীয় বাষ্পের কারণে হালকা শীতের এই সময়েও বাড়ছে উষ্ণতা। সেজন্য ডিসেম্বরেও শীত কম পড়তে পারে।
জ্যেষ্ঠ আবাহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, 'বাতাসে জলীয় বাষ্পের কারণে আমাদের ভূপৃষ্ঠের মাটি ভেজা ভেজা রয়েছে। সে কারণে এবার ডিসেম্বরে শীত খুব বেশি পড়বে এমন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে পরিবেশ উত্তপ্ত থাকে।'
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, গত বছর ডিসেম্বরে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা ছিল। কয়েক বছর ধরে এই সময় লা নিনার প্রভাব ও ভারত থেকে আসা বাতাসের ধুলাবলয় মিলে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে। তাই শীতের তীব্রতাও কমেছে। এ বছরও ডিসেম্বরে অল্প সময়ের জন্য মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, চলতি মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়তে পারে বৃষ্টি।