কাঁচামরিচ গুঁড়ো করে ও পেঁয়াজের কুচি রোদে শুকিয়ে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খরচ কমাতে এটি একটি ভাল পন্থা বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার গণভবনে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিবসহ উপস্থিত কর্মকর্তাদের কাঁচামরিচের গুঁড়ো ও রোদে শুকানো পেঁয়াজের কুচির দুটি প্যাকেট উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ‘ভাবুন তো, রান্নার সময় তরকারিতে দিচ্ছেন কাঁচামরিচের গুঁড়ো কিংবা শুকনো পেঁয়াজের কুচি একটু ভিজিয়ে রান্নায় ব্যবহার করছেন প্রয়োজনমত! পচনশীল এই দুটি সবজি সময়মত সংরক্ষণ করে এভাবেও ব্যবহার করা সম্ভব! পথ দেখালেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বৃহস্পতিবার সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা উদ্বোধন শেষে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিবসহ উপস্থিত কর্মকর্তাদের কাঁচামরিচের গুঁড়ো ও রোদে শুকানো পেঁয়াজের কুচির দুটি প্যাকেট উপহার দেন। বর্ষাকালে পিয়াজ ও কাঁচমরিচের দাম বেড়ে যায়। তখন আগে থেকে সংরক্ষণ করে রাখা কাঁচামরিচের গুঁড়ো ও শুকানো পেঁয়াজ কাজে লাগবে। খরচ হবে না বাড়তি টাকা। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এমন হলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন বাড়ির গৃহিনীরা।’
প্রতিমন্ত্রী তাঁর ফেসবুক পোস্টে আরও লেখেন, “কাঁচা পেঁয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না, কাঁচামরিচও তাই। কিন্তু এগুলোকে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে তা অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। বঙ্গবন্ধুকন্যা একইভাবে টমেটো সংরক্ষণেরও পরামর্শ দেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন, ‘যখন বেশি ফলন হয় তখন টমেটো ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে পরে ব্যবহারের জন্য রেখে দেয়া যায়।’ আধুনিক মেশিনের সাহায্যে প্রক্রিয়াজাত করে এগুলো মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার তাগিদ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। খাদ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। প্রতিদিনই তাঁর ভাবনা ও জীবনাচার থেকে শিখছে বাংলাদেশের মানুষ। তিনি পতিত জমিতে ফসল ফলানোর কথা বলেছেন, বলছেন ছাদে বা বারান্দায় একটি কাঁচামরিচ গাছ হলেও তা লাগানোর কথা। যা বলেছেন, তা তিনি করেও দেখিয়েছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা সর্বক্ষেত্রেই। জয়তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।”