নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা ছাড়া কোনো ইস্যু নেই। তাই আমরা কারও উস্কানিতে পা দেব না।
রোববার (২৩ জুন) সেনাসদরে অনুষ্ঠিত হয় দুই জেনারেলের দায়িত্ব হস্তান্তর ও গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা। ওই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের নতুন সেনাপ্রধান বলেন, একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে সামনের দিনগুলোতে সেনাবাহিনী কাজ করে যাবে।
মিয়ানমার প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, কোনো উস্কানিতে পা দিবে না তার বাহিনী। মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা ছাড়া কোনো ইস্যু নেই।
আগামী তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিবেন তিনি। সেনাসদরে নতুন সেনাপ্রধানকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে তিন বছরের নেতৃত্ব শেষে বিদায় নেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। পূর্ণ সামরিক রীতি অনুযায়ী তাকে ফুলেল সজ্জিত গাড়িতে রশি টেনে পার করে দেয়া হয় সেনাসদর। এসময় তাকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিদায় জানানোর আগে একজন দায়িত্ব হস্তান্তর করেন আরেকজন গ্রহণ করেন দায়িত্ব। আগামী তিন বছরের জন্য দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে। সেনাসদরে অনুষ্ঠিত হয় দুই জেনারেলের দায়িত্ব হস্তান্তর ও গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা।
সকালে শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। পরে সেখানে থাকা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেনতিনি। এরপর বিদায়ী সেনাপ্রধান যান সেনাকুঞ্জে। সেখানে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। সেনাকুঞ্জে একটি গাছের চারা রোপন করেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
গত তিন বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন জেনারেল শফিউদ্দিন। তার স্থলাভিষিক্ত হলেন নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।