আজ ৫ মে কার্ল মার্কসের ২০৫তম জন্মবার্ষিকী। প্রভাবশালী জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী ও মার্কসবাদের প্রবক্তা কার্ল হাইনরিশ মার্কস ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে জন্মগ্রহণ করেন।
জীবিত অবস্থার চেয়ে মৃত্যুর পর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বিংশ শতাব্দীতে সমগ্র মানবসভ্যতা মার্কসের তত্ত্ব দ্বারা প্রবলভাবে আলোড়িত হয়।
কার্ল মার্কস জার্মানির প্রুশিয়া সাম্রাজ্যের নিু রাইন প্রদেশের অন্তর্গত একটি গ্রামে এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। কার্ল মার্কস ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতেই পড়াশোনা করেন। ১৭ বছর বয়সে স্নাতক পাস করেন।
এরপর ইউনিভার্সিটি অব বন-এ আইন বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। তার ইচ্ছা ছিল সাহিত্য ও দর্শন নিয়ে পড়া, কিন্তু তার বাবা মনে করতেন কার্ল স্কলার হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবে না।
কিছু দিনের মধ্যেই তার বাবা তাকে বার্লিনের হুমবল্ড ইউনিভার্সিটিতে বদলি করিয়ে দেন। সে সময় মার্কস জীবন নিয়ে কবিতা ও প্রবন্ধ লিখতেন। তার লেখার ভাষা ছিল বাবার কাছ থেকে পাওয়া ধর্মতাত্ত্বিক তথা অতিবর্তী ঈশ্বরবাদের ভাষা।
১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। লেখার কারণে জার্মানি থেকে বিতাড়িত হওয়ায় তিনি প্যারিসে যান। সেখান থেকে পুনরায় লেখার কারণে বিতাড়িত হওয়ার পর লন্ডন যান। লন্ডনে তিনি ছিলেন ৩০ বছর। অতি দারিদ্র্য ও অপুষ্টিতে তার চার সন্তান এবং স্ত্রী মারা যান।
১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ মার্চ তার মৃত্যু হয়। তাকে ১৭ মার্চ লন্ডনের হাইগেট সেমেট্রিতে সমাহিত করা হয়। তার সমাধি ফলকে দুটি বাক্য লেখা আছে। প্রথমটি হল, কমিউনিস্ট মেনিফেস্টোর শেষ লাইন ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’, অপরটি হল- ১১তম থিসিস অন ফয়ারবাখের এঙ্গেলীয় সংস্করণের বিখ্যাত উক্তি, ‘এতদিন দার্শনিকরা কেবল বিশ্বকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যাই করে গেছেন, কিন্তু আসল কাজ হলো তা পরিবর্তন করা।’