দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছে। রোববার এ তাণ্ডবে পটুয়াখালীর বাউফলে দুজন, ভোলা, পিরোজপুর, নেত্রকোণা ও বাগেরহাটে একজন করে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ফসলের ক্ষতি ও গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের চরালকী গ্রামে গাছের নিচে পড়ে মৃত্যু হয় সাফিয়া রহমানের। আর নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাতেরকাঠি গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় রাতুল নামে এক কিশোরের। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বাগেরহাটে আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক মারা যান এবং পৃথক ঘটনায় বাসের ওপর বিলবোর্ডের খুঁটি উপড়ে পড়লে তিনজন আহত হন।
অপরদিকে, পিরোজপুরে বসতঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে রুবী বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছে তার ৬ বছরের শিশু সন্তান। সকালে পিরোজপুর পৌরসভার মরিচাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভোলা জেলার লালমোহন ও মনপুরা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় শতাধিক কাঁচা বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নে কাঁচা ঘরের চাপা পড়ে মো. হারিচ আহমেদ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তি ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ ছাড়া জেলায় কমপক্ষে দুজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে শহীদ মিয়া নামে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি গত ৩১ মার্চ রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হন। শনিবার রাতে সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এদিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ধান খেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য পোদাউলিয়া গ্রামের জাহান আলি। নিহত আব্দুল মালেক পাটোয়ারী (৬০) উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের মৃত ওমর আলি পাটোয়ারীর ছেলে।
একইসঙ্গে খুলনার ডুমুরিয়ায় বজ্রপাতে ওবায়দুল্লাহ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।