রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান নেই। তারা জানে না, কার সম্বন্ধে কি কথা বলতে হয়। সবারই একটা সীমার মধ্যে থাকা উচিত।’
রাবির মন্নুজান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা শশীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভের বিষয়ে সোমবার উপাচার্য এ মন্তব্য করেন। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুকে লাইভে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছাত্রলীগ নেত্রী ফারজানা শশী। বিষয়টি দ্রুত ভাইরাল হয়। এর পর নানা আলোচনা-সমালোচনার পরে তিনি তা সরিয়ে নেন।
রাবি উপাচার্য আরও বলেন, ‘এ ধরনের কোনো কথার আমি জবাব দিতে চাই না। শিক্ষক হিসেবেও এটি নিজের জন্য লজ্জার। আমরা প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি দেখব। তবে যে বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন, আমরা বিষয়টি দেখব, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত। সীমা লঙ্ঘন করেই এ কথা বলা হয়েছে। এগুলো থেকে বিরত থাকতে আমরা বিশেষভাবে বলছি। যার জন্য যেটি প্রযোজ্য নয়, সে বিষয়ে তার কথা না বলা ভালো।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা এটাও জানেন না যে, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন না। প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে এ ধরনের প্রশ্ন তোলা সমীচীন নয়। শেখার অনেক কিছু আছে। এ ধরনের ইমোশনাল (আবেগ) কথা বলার আগে আমরা এটুকু চিন্তা করব, এ কথা বলা ঠিক কি না। ভবিষ্যতে তারা যেন এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকেন, এটাই আশা করব।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে রহমতুন্নেছা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না আক্তার তন্বী পড়াশোনা শেষ করার পরও ৬ মাস ধরে অবৈধভাবে হলে থাকতেন। এজন্য তাকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় হল প্রশাসন। কিন্তু ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পর দিন দুপুরে উল্টো হল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীরা। এ বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করায় ফারজানা শশী ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন।