দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: কিরগিজস্তানের রাজধানী বিসকেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মিশরের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘাতের কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়া বাংলাদেশের প্রায় ১২শ’র বেশি শিক্ষার্থী। বেশ কয়েকজন আহত হলেও সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়ে, সোমবার সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষ হয়। তবে ঠিক কী কারণে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত তা এখনও জানা যায়নি।
এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল কম্পাউন্ডে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধর শুরু করে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে কিরগিজ প্রশাসনও নিরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে, সরকারি মেডিক্যালের শিক্ষার্থী নিরাপদে থাকলেও সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন বেসকারি মেডিক্যালে পড়া প্রায় ৯’শর বেশি শিক্ষার্থী।
কিরগিজ স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সালমান ফারসী সিয়াম জানান, তারা একরকম গৃহবন্দি রয়েছেন। অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।
তিনি বলেন, কিরগিজস্তানে বাংলাদেশে দূতাবাস না থাকায় প্রতিবেশি উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন তারা।
এ বিষয়ে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর হয়নি। দেশটিতে ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের ১৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানের সরকার তাদের শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনজন পাকিস্তানি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য কোনো কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। তবে ১৪ জন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ব্যয় কম হওয়ায় কিরগিজস্তানে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে যান।
রেডিও ফ্রি ইউরোপ জানিয়েছে কিরগিজ প্রশাসন চার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। তবে তারা কোন দেশের সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।
হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, ওই সংঘর্ষের পর স্থানীয়রা ছাত্রাবাসগুলোতে ব্যাপক ভাংচুর করে।