কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কিশোর কুমারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
কিশোর কুমার ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ৪ আগস্ট মধ্যপ্রদেশে এক বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
কিশোর ছিল তার ডাক নাম। ভালো নাম আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। ‘বম্বে টকিজ’ ছবিতে দাদা অশোক কুমারের সঙ্গে গান গেয়েছিলেন কিশোর। সেই নামটাই শেষ পর্যন্ত থেকে যায়।
সংগীতে প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও কেএল সায়গলকে নিজের সবচেয়ে বড় আদর্শ মানতেন তিনি। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ‘জিদ্দি’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন কিশোর কুমার।
তবে শুধু গান নয়, অভিনেতা হিসেবেও তিনি যে পারদর্শী তার প্রমাণ দিয়েছিলেন কিশোর কুমার। ‘শরারত’ ও ‘রাগিণী’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার লিপে গান গেয়েছিলেন মহম্মদ রফি।
কিশোর কুমারের বিপরীতে বৈজন্তিমালা, মধুবালা ও সায়রা বানুর মতো অভিনেত্রীরা অভিনয় করেছেন।
কিশোর কুমার আট বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছেন। তার গাওয়া গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, উত্তম কুমার, রাজেশ খান্না, সঞ্জীব কুমারসহ আরো অনেকে।
শচীন দেববর্মন, রাহুল দেববর্মন, গুলজার, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ আরো অনেক সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
কিশোর কুমারের প্রথম স্ত্রী রুমা গুহঠাকুরতা। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বিয়ে করেন মধুবালাকে। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মধুবালার মৃত্যু হলে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে অভিনেত্রী যোগিতা বালিকে বিয়ে করেন তিনি। সেই সংসার টিকেছিলো দুই বছর। সবশেষে লীনা চন্দভারকারকে বিয়ে করেন কিশোর কুমার। আমৃত্যু একসঙ্গে ছিলেন তারা।
কিশোর কুমার সর্বমোট দুই হাজার ৭০৩টি গান গেয়েছেন। যার মধ্যে এক হাজার ১৮৮টি হিন্দি সিনেমায়, ১৫৬টি বাংলা এবং অন্যান্য ভাষার গান। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।