অস্ত্র মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস মিয়া ওরফে ইলিয়াস হোসেন সবুজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার বেলা তিনটায় তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ইলিয়াস কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তারের আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এর পর আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার সালমানপুর ছানিয়া পিকনিক স্পট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি তাজা গুলিসহ ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর র্যাবের ডিএডি মো. মোস্তাকিম বাদী হয়ে ওই দিনই সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ৯ আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার তাকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস মিয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের (প্রথম ব্যাচ) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৮ মে তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। দায়িত্বের আগে ও পরে একাধিলবার তিনি সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, সাংবাদিকদের নিপীড়ন ও মারধর, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারধর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি, শিক্ষকের বাসায় হামলা, মাদক সেবন, র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া, নতুন ক্যাম্পাসে ভূমি অধিগ্রহণে প্রভাব বিস্তারের নানা অভিযোগ রয়েছে।