কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২২ নির্বাচনে ভোট গণনা চলাকালে আওয়ামীপন্থী দু'পক্ষের শিক্ষকদের মাঝে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে নির্বাচন বুথ টিচার্স লাউঞ্জের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আওয়ামীপন্থী রানা-এমদাদ প্যানেলের পক্ষ থেকে ভোট গণনার প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি তোলা হয়। তারা প্রতি বছরের মতো একই প্রক্রিয়ায় ভোট গণনা করার দাবি জানান। যাতে মনোনীত এজেন্টরা ভোট গণনার বিষয়টা ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
এসময় আওয়ামীপন্থীদের দুই পক্ষের শিক্ষকেরা টিচার্স লাউঞ্জের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এরপর বেশ কিছুক্ষণ দুই পক্ষের শিক্ষক নেতাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনার সকল প্যানেলের সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থীদের ভোট গণনার কক্ষে উপস্থিত থাকার প্রস্তাব দিলে এ পরিস্থিতির সমাধান হয়।
আওয়ামীপন্থীদের একটি অংশ নন্দী-বিদ্যুৎ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কেউ আপত্তি জানালে প্রয়োজনে সবার সামনে ভোট গণনা হোক। তবুও চাই সুষ্ঠুভাবে হোক। যেমন টা সন্দেহ করছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তেমন কিছু হয় না। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।
আওয়ামীপন্থীদের অন্য একটি অংশ রানা-এমদাদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. এমদাদুল হক বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনারের প্রতি কোন প্রকার অনাস্থা পোষণ করিনি। আমাদের প্রক্রিয়া নিয়ে জিজ্ঞাসা ছিল। নির্বাচন কমিশনার পরবর্তীতে দুই পক্ষের সম্মতিতে ভোট গণনার প্রক্রিয়া নতুন করে ঠিক করেছে।
সোমবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।