কুমেক অধ্যক্ষের পদ পেতে মরিয়া অধ্যাপক সরতাজ - দৈনিকশিক্ষা

কুমেক অধ্যক্ষের পদ পেতে মরিয়া অধ্যাপক সরতাজ

দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের (কুমেক) অধ্যক্ষ পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সরতাজ বেগম। পদ পেতে বিভিন্ন মহলে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

জানা গেছে, বর্তমানে কুমিল্লা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদটি খালি রয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মেডিক্যালের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হক সম্প্রতি পদত্যাগ করেন। এর পর পরই অধ্যক্ষ পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেন অধ্যাপক ডা. সরতাজ বেগম।

আরও জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. সরতাজ বেগমের মেডিক্যালের ব্যাচমেট ছিলেন। সেইসঙ্গে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে রয়েছে ভালো সম্পর্ক। ওই কর্মকর্তার মাধ্যমে মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্নমহলে জোর লবিং চালাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে অধ্যাপক ডা. সরতাজ শুভাঙ্খীমহলে বলা শুরু করেছেন, তিনিই হচ্ছেন কুমিল্লা মেডিক্যালের পরবর্তী অধ্যক্ষ। 

চিকিৎসকদের অভিযোগ, গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ করেন স্বৈরাচার সরকারের দোসর ও সুবিধাভোগী চিকিৎসকরা। এর অংশ হিসেবে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে বিষোদগার করার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যালে ও শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক ডা. সরতাজ বেগম সেই শান্তি সমাবেশের উপস্থিত ছিলেন এবং ছাত্র-জনতার বিপক্ষে বক্তৃতা প্রদান করেন। সেইসঙ্গে সমাবেশ সংগঠিত করার ব্যাপারে তৎপর ছিলেন তিনি।

কুমিল্লা মেডিক্যালের এক চিকিৎসক বলেন, ‘কুমিল্লা মেডিকেলের বেপরোয়া চিকিৎসকদের মধ্যে অন্যতম অধ্যাপক ডা. সরতাজ বেগম। ইতিমধ্যে গাইনি বিভাগে তিনি বলা শুরু করেছেন, তিনি মেডিকেলের পরবর্তী অধ্যক্ষ হচ্ছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলার জন্য।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক চিকিৎসক বলেন, ‘কুমিল্লা মেডিক্যালে হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগীদের অন্যতম অধ্যাপক ডা. সরতাজ বেগম। তিনি এখনও স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাঁর কারণে কোনঠাসা অনেক চিকিৎসক। মেডিকেলে স্বৈরাচারের দোসররা বহাল থাকায় ক্ষুব্ধ কুমিল্লা মেডিকেলের চিকিৎসকরা।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক ডা. সরতাজ বেগম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সব মিথ্যা। এগুলো কারা করেছে, সেটাও আমি জানি না।’

শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048699378967285