খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাহমিদুল হক ইশরাক বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার নগরীর খানজাহান আলী থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ১১ আসামি হলেন- শুভানুদেব অংকন বড়াল, দীপ্রদাস কুন্ডু, এন নাজমুস সাকিব, তানবীন হাসান, অভিজিত ভট্টাচার্য, ফুয়াদ, জয়বোস, সীমান্ত অদিত্য, এহসান মল্লিক আকাশ, রাকিব বিন মাহাবুব তালুকদার ও সুমিত দাস।
খানজাহান আলী থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, রোববার রাতে কুয়েটে ছাত্রদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় রুদ্রনীল সিংহ শুভসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অর্ধশত ছাত্রকে আসামি করা হয়েছে। তবে এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
কুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, রোববার রাতে হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৪ ছাত্র আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় লালন শাহ হলের ২১ ছাত্রকে রোববার হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইযাসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম শামস, তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোষ, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান মুহাসিন।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার কুয়েট কর্তৃপক্ষ ইলেক্ট্রনিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুন্নবী মোল্লাকে সভাপতি করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটির অন্য ৪ জন হলেন- অধ্যাপক ড. মো. রফিকুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মো. ইকরামুল হক, সহকারী অধ্যাপক রঞ্জন কুমার রাহা।
কুয়েটের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মতিন বলেন, তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
লালনশাহ হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রোববার রাতে হলে উঠতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।