পাইকারি দামে খুচরায় বিক্রি স্লোগানে কুড়িগ্রামে চালু হয়েছে জনতার হাট বাজার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতি আর পবিত্র রমজানে নিম্নআয়ের মানুষকে একটু পরিত্রাণ দিতে চালু হলো এ বাজার।
রোববার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অপ্রতিরোধ্য কুড়িগ্রামের আয়োজনে কলেজ মোড় সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে বসেছে এ বাজার। জনতার হাট বাজারের মূল উদ্দেশ্ই হলো পাইকারি দামে খুচরা বিক্রি করা।
এখানে পাইকারি মূল্যে এক লিটার সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা ও পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৮৫০টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৮৫ টাকা, বুট ডাল ৮২টাকা, মুগ ডাল ৮৮ টাকা, এ্যাংকর ডাল ৬০টাকা, ছোলা ৭৪টাকা, লবণ ৩৬ টাকা, চিনি১০৫টাকা, এক হালি ডিম ৩৬টাকা, চাল ধরণভেদে ৩৫ থেকে ৫৩ টাকা, রুহ আফজা ছোট বোতল ১৭৫ টাকা এবং বড় বোতল ৩০০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ক্রেতা শফিকুল বলেন, আমি রিকশা চালিয়ে যা আয় করি তা নিয়ে বাজার ঢুকতে ভয় হয়। জিনিসপত্রের এমন দাম তাতে চাল কিনলে নুন নেই আবার নুন কিনলে চাল নেই। মাছ মাংসতো স্বপ্ন দেখার মতো। এই বাজারে এসে ৩৫ টাকায় চালের দাম দেখে অবাক হয়েছি। এই বাজারে পাইকারি মূল্যের জিনিস খুচরায় পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে খেটে খাওয়া মানুষের উপকার হইছে।
আকলিমা বেগম বলেন, জিনিসপত্রের দামে ঊর্দ্ধগতিতে দারিদ্র্য পীড়িত কুড়িগ্রামের মানুষ কি পরিমাণে কষ্টে আছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অনেক পরিবার আছে আত্মসম্মানের জন্য ত্রাণ নিতে পারেন না। কিন্তু এই বাজার চালু হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য একটু স্বস্তি বয়ে আনবে।
স্বেচ্ছাসেবক অন্তু চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সর্বস্তরের মানুষের জন্য জনতার হাট বাজার চালু করা হয়েছে। এই বাজারে পাইকারি মূল্যে খুচরা বাজার করা যাবে। আমাদের লক্ষ্য এই রমজানে যে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তার থেকে সাধারণ মানুষ কিছুটা যেন স্বস্তি পায়। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে এই বাজার।
আগামীতে সেমাই, মসলা, শাকসবজিসহ গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। আমাদের সংগঠনের নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে ভর্তুকির মাধ্যমে এই বাজার চালু করা হয়েছে। এখানে ৩০জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। প্রতিদিন দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে পাইকারি দামে কিনে খুচরা মূল্যে বিক্রি করা হয়ে থাকলে তা মানুষের উপকারে আসবে এবং এর প্রভাব বাজারেও পড়বে।