দেশের গুচ্ছভুক্ত ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (০৫ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে দেশের ৮টি কেন্দ্র ও ৩টি উপকেন্দ্রের অধীনে একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ।
এ বছর কৃষি গুচ্ছে আবেদন পড়েছে ৮৪ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে আবেদন ফি পরিশোধ করেছে ৮১ হাজার ২১৯ জন ভর্তীচ্ছু। ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ৩ হাজার ৫৪৮টি। সে হিসেবে কৃষি গুচ্ছের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আসনপ্রতি লড়বে ২৩ ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থী।
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা এসব তথ্য জানান।
ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য আলাদা আলাদা আসন বিন্যাস দেওয়া হয়েছে। কৃষি গুচ্ছের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এ আসন বিন্যাস প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া গত ২৫ জুলাই থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন
কৃষি গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ।
ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র
৮ প্রধান কেন্দ্রের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২ হাজার ৬২০, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ হাজার, শেরে বাংলা কৃষি
এ ছাড়া ৩টি উপকেন্দ্রের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৮১৭, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০ হাজার ৪২ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬২৯ জন ভর্তীচ্ছুর আসন বিন্যাস করা হয়েছে।
পরীক্ষা পদ্ধতি ও নম্বর বণ্টন
এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে। ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ ও গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
যেভাবে হবে মেধা স্কোর
মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।