কোটা আন্দোলন ঘিরে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার ও আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে আজ রোববার প্রতিবাদী গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এছাড়াও সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। দাবি না মানলে তারা আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ ও ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ মতো কর্মসূচিতে যাবেন।
শনিবার (২৭ জুলাই) দিনগত রাতে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের সমন্বয়করা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার, আব্দুল হান্নান মাসউদ ও সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশীদ এসময় যুক্ত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, রোববারের মধ্যে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার এবং ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ সব শিক্ষার্থীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থী হত্যার সঙ্গে জড়িদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে পরশুদিন (সোমবার) থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
চলমান কর্মসূচি সম্পর্কে তারা বলেন, সারাদেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জেলা, উপজেলা ও নগরকেন্দ্রিক ‘হেলথ ফোর্স’ গঠন করে হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি এবং হতাহত ছাত্র-নাগরিক ও তাদের পরিবারকে মানসিক ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
একই সঙ্গে ‘লিগ্যাল ফোর্স’ গঠন করে সারাদেশে অসংখ্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার ডকুমেন্টেশন এবং যাদের আইনি সাহায্যের প্রয়োজন তাদের সে ব্যবস্থার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করছে।
আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, যত শিক্ষার্থীকে গুম ও গ্রেফতার করা হয়েছে এবং যত মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে এবং আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে।
‘পরিপত্র খেলা’ বন্ধ করে অতি দ্রুত সব অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন গঠন করে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এরমধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করলে সোমবার থেকে বাংলা ব্লকেড ও কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমরা আর পালিয়ে থাকবো না। আমরা রাজপথে নামবো। প্রয়োজনে আবু সাঈদের মতো গুলি করে হত্যা করা হোক। তারপরও এই দমবন্ধ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই।