কোটা ইস্যুতে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচির পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই আবার ব্যপক শোডাউন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পাঠাগারের সামনে থেকে শুরু করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মিছিল করেন তারা।
হাজার হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘কোটা না মেধা?’ ‘মেধা মেধা, হাইকোর্টের রায় মানি না মানবো না', 'কোটা বাতিল করো, বাতিল করো', 'ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ' 'মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই' এমন স্লোগান দেন তারা।
এর আগে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-আঠারোর পরিপত্র বহাল করতে হবে। সরকার পরবর্তীতে পদক্ষেপ নিতে চাইলে তা ১৮ খ্রিষ্টাব্দের পরিপত্র মোতাবেক হতে হবে। কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা সুবিধা বহাল রাখা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটা ব্যাবহার করা যাবে না এবং কোটায় শুন্য থাকা পদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিলো, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।
এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জারিকৃত পরিপত্রটি। এরপর আবারো ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা ৩০ জুন পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় ফের আজ থেকে মাঠে নেমেছে তারা।