ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন বিষয়টা যা জটিল হয়েছে তা নিয়ে আর জটিলতা বাড়ানো যাবে না। বিষয়টির দ্রুত সমাধান করা উচিত। জেদাজেদিতে না গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয় হতে হবে। শিক্ষার্থী এবং সরকার দুই পক্ষেরই যৌক্তিক সমাধানে আসতে হবে। আস্থার সংকট দূর হলে শিক্ষার্থীদের অন্দোলনও বন্ধ হবে, জনগণের ভোগান্তিও শেষ হবে। শুক্রবার (১২) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। শনিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
এ শিক্ষাবিদ বলেন, যদি কোটা সংস্কারের জন্য একটি কমিটি করার ঘোষণা দেওয়া হয় তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ হবে বলে আমি মনে করি। আন্দোলনরত ছাত্ররাও এটিই চায়। একটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে কোটা সংস্কারের জন্য কমিটি করার কথা বলা যেতে পারে। এ ধরনের ঘোষণা এলে ছাত্র-ছাত্রীদের আর কোনো যৌক্তিক দাবি থাকবে না। তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোমলমতি ও ইমোশনাল। এই আন্দোলন কোন দিকে যায় তা তো বলা মুশকিল। তাই বিষয়টির দ্রুত সমাধান হতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। আন্দোলন শেষ করে শিক্ষার্থীদের দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে নিতে হবে। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে চলমান শিক্ষক আন্দোলনেরও দ্রুত সুরাহা হওয়া উচিত বলে মত দেন তিনি।