কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটের পর এবার রাজপথে নেমে এসেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়েছে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা একটি অভিশাপ। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ৫৬ শতাংশ কোটা একটি অনায্য ব্যবস্থাপনার ফল। আমরা চাই সরকার কোটা সংস্কার করে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসুক।
শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ নারী কোটা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও ১০ শতাংশ জেলা কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। গত ৫ জুন সেই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের পর নতুন করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে তারা কোটা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার চার দফা থেকে দাবি এক দফায় নামিয়ে আনেন আন্দোলনকারীরা। তাদের এক দফা হলো—সব গ্রেড থেকে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে এবং অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করতে হবে।