রাজনৈতিক কোনো দলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি আওয়ামী লীগ, অন্যান্য দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। সবাইকে আমি মার্কিন নীতির কথা জানিয়েছি। আওয়ামী লীগসহ সবাইকে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য বলেছি।
পিটার হাস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো একটি নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে না। এবং আমরা যা সমর্থন করি তা হলো একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যা বাংলাদেশের জনগণকে তাদের পরবর্তী সরকার বেছে নিতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই বৈঠকটি বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে আমি যে বৈঠক করেছি তার অংশ। আমি অন্যান্য রাজনৈতিক দল, মিডিয়া আউটলেট, সুশীল সমাজ, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এটিও মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে আমি যা করি তার অংশ।
প্রতিটি মিটিংয়ে আমি একই বার্তাগুলো পুনরাবৃত্তি করেছি এবং এটি আমাদের নীতি যে আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ, কারও পক্ষ থেকে কোনো সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনকে সমর্থন করি, বলেন পিটার হাস।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সবার ভূমিকা রয়েছে। সরকারের ভূমিকা আছে, মিডিয়ার ভূমিকা আছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও বিচার বিভাগ, সিকিউরিটি ফোর্সেস (নিরাপত্তা বাহিনী) এবং অবশ্যই ভোটারদের ভূমিকা আছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বিদেশিদের কোনো চাপ অনুভব করছে না বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে আওয়ামী লীগ নিজেদের বিবেকের চাপ অনুভব করছে বলে জানান তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সোয়া এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাপ অনুভব করব কেন? ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করা আমাদের কমিটমেন্ট। এখানে চাপ অনুভব করব কেন? যদি বলেন, চাপ, তাহলে বিবেকের চাপ।
তিনি বলেন, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন লেনদেন আছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। আমেরিকার মান্যবর রাষ্ট্রদূত আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তারা আমাদের এই অফিসে আগে কখনো আসেননি। তিনি এলেন, দেখে গেছেন।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অষ্টমতলায় বৈঠকটি শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
পিটার হাসের সঙ্গে তার একজন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেন।