ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয়-সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়ে সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার দেশের সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীর সব সরকারি বিদ্যালয়ের আওতাধীন ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করবে।
ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটির প্রধান হবেন মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
ভর্তির আবেদন অনলাইনে আগামীকাল ২৪ অক্টোবর সকাল ১১টা হতে শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল হতে এসএমএসের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় হতে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। ভর্তির আবেদন https://gsa.teletalk.com.bd এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬+ বছর নির্ধারিত হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি শাখায় শিক্ষার্থী হবে ৫৫ জন। এক জন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি/প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদন ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত তালিকার সমসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তী সময় প্রয়োজন হলে লটারির মাধ্যমে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
কোথায় কত কোটা : ক্যাচমেন্ট এরিয়ার জন্য ৪০ শতাংশ থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। উক্ত কোটায় কোনো শিক্ষার্থী ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ১৬ পৃষ্ঠার পর পাওয়া না গেলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে।
কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাইবোন যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে সব সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাইবোনের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির মোট দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থী লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন-সংক্রান্ত তথ্যাদি হালনাগাদ করবে।
ভর্তি ফি থেকে আদায়ের অর্থের একটি অংশ পাবে কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান। বাকি অর্থের ৮৫ শতাংশ পাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ১০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ৩ শতাংশ শিক্ষা অধিদপ্তর পাবে।