দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: বাবা-মা'র আয়ের ওপর ভিত্তি করে ক্যাডেট কলেজে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২ হাজার টাকা নির্ধারিত রয়েছে। সম্প্রতি নিম্ম ধাপের টিউশন ফি অপরিবর্তিত থেকে অন্যান্য ধাপগুলোর ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ধাপের টিউশন ফি প্রস্তাব করা হয়েছে ২৮ হাজার ৬০০ টাকা।
রোববার সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রশ্নোত্তরে ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ক্যাডেট কলেজের বেতন বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব যৌক্তিক পর্যায় নির্ধারণ করা হবে কী না তা জানতে চান।
জবাবে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ক্যাডেট কলেজগুলোর টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো নিজস্ব আয়ের উৎস না থাকায় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিজস্ব আয় বাড়াতে প্রাথমিকভাবে টিউশন ফি বৃদ্ধির প্রস্তাবনা থাকলেও সেটা করা হয়নি। পরে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কথা বিবেচনা করে সপ্তম শ্রেণির নবাগত ক্যাডেটদের ফি ২০ ধাপে সর্বনিম্ন বর্তমানের ১৫০০ টাকা বহাল রেখে সর্বোচ্চ ২৮ হাজার ৬০০ টাকা (বর্তমানে ২২ হাজার) নির্ধারণের প্রস্তাবনা সব ক্যাডেট কলেজগুলোতে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বৃদ্ধির হার সর্বশেষ ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত টিউশন ফি’র তুলনায় ৩০ শতাংশের বেশি নয়।
এ বিষয়ে সরকার দলের এমপি সালাউদ্দিন মিয়াজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ক্যাডেট কলেজের পেনশন সংক্রান্ত বকেয়া অর্থ প্রধানমন্ত্রী আজ (রোববার) অনুমোদন দিয়েছে। তারা যেহেতু একটি সুখবর পেয়েছেন। এখন হয়তো টিউশন বৃদ্ধির যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণে বিবেচনা করতে পাবে। তবে এ বিষয়ে তিনি অভিভাবকদের ক্যাডেট কলেজ পরিষদের কাছে একটি আবেদন করার পরামর্শ দেন।