আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রচলিত খাতায় নয়, প্রশ্নপত্র সম্বলিত বুকলেটে এ পরীক্ষা নেয়া হবে। বুকলেটের নির্ধারিত জায়গায় টিক চিহ্ন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে লিখে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ পরীক্ষার জন্য পৃথকভাবে উত্তরপত্র সরবরাহ করা হবে না বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চার বিষয়ে দুই ঘণ্টা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরে হবে এ পরীক্ষা। পঞ্চম শ্রেণির ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন।
বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কাঠামোতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে , শিক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র সম্বলিত বুকলেট সরবরাহ করা হবে। বুকলেটের নির্ধারিত জায়গায় টিক চিহ্ন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে লিখে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। পৃথকভাবে উত্তরপত্র সরবরাহ করা হবে না। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ের প্রতিটির জন্য ২৫ নম্বর করে সর্বমোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতি বিষয়ে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে যার প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর। প্রতি প্রশ্নের চারটি অপশনের মধ্যে সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিতে হবে। সঠিক উত্তর নির্বাচনে একাধিক অপশনে টিক চিহ্ন দেয়া যাবে না। একাধিক অপশনে টিক চিহ্ন দেয়া হলে ওই প্রশ্নের উত্তরের জন্য নির্ধারিত নম্বর দেয়া হবে না।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলা বিষয়ে দুইটি অনুচ্ছেদ দেয়া থাকবে। দুইটি অনুচ্ছেদ থেকে ৪টি করে ৮টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে এবং অপর ৭টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন সমগ্র পাঠ্যপুস্তক থেকে থাকবে। একটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে যার নম্বর হবে ১০।
গণিত বিষয়ে সমগ্র পাঠ্যপুস্তক থেকে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। দুটি সমস্যা সমাধানমূলক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটির মান ৫ নম্বর করে মোট ১০ নম্বর।
ইংরেজি বিষয়ে সমগ্র পাঠ্যপুস্তক থেকে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। একটি বিষয়ে অনুচ্ছেদ লিখতে হবে। যার মান ১০ নম্বর।
প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে সমগ্র পাঠ্যপুস্তক হতে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। দুটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটির মান ৫ নম্বর করে মোট ১০ নম্বর।
গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক সভায় বৃত্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রায় ১২ বছর পর পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার ঘোষণা হতে না হতেই বৃত্তি পাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে নোট-গাইড বাজারে এসেছে। কাগজ সংকটের কারণে এ বছর পাঠ্যবই ছাপা শেষ হওয়ার আগে অন্যান্য বই ছাপাবেন না বলে ঘোষণা দিলেও এক শ্রেণির প্রকাশক মুনাফা লুটতে নোট-গাইড বাজারে ছেড়েছেন।
তবে, বৃত্তি পরীক্ষায় এসব নোট গাইডে কোনো উত্তর করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেছেন, বৃত্তি পরীক্ষা এমসিকিউ ও চার-পাঁচ লাইনের সংক্ষিপ্ত-উত্তরে নেয়া হবে। কোন নোট-গাইড পড়ে পরীক্ষায় উত্তর করা যাবে না। নোট-গাইড থেকে প্রশ্নও করা যাবে না। নোট-গাইড থেকে কেউ প্রশ্ন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃত্তি পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড বাদ দিয়ে পাঠ্যবই অনুসরণ করার পরামর্শ দেন সচিব।