অক্টোবরের শেষদিকে জানা গিয়েছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে কে কে যাবেন, সেটাও অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পরও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার (৮ নভেম্বর) লন্ডন যাচ্ছেন না। এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ৮ নভেম্বর তিনি লন্ডন যাচ্ছেন।
বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি এম এ মালেক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও ভিসা পাওয়ার পরও তার শারীরিক অবস্থার কারণেই চিকিৎসকদের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে লন্ডনে দেখার অপেক্ষায় আছেন তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পুরো পরিবার।
এরআগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, ৮ নভেম্বর খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন। প্রথমে তাকে লন্ডনে নেওয়া হলেও সেখানে স্টেওভারের পর মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টার যে দেশে রয়েছে, সেখানে নেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র অথবা জার্মানিতে এমন মেডিক্যাল সেন্টার রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। দলের অন্য নেতারাও বলেছিলেন তিনি ৮ নভেম্বর লন্ডনে যাবেন।
৮ নভেম্বর খালেদা জিয়া লন্ডন যাবেন এমনটি ধরেই বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঠিক করা হয়েছিল।
এ ছাড়া তার চিকিৎসার কাজে সহযোগিতার জন্য মেডিক্যাল বোর্ডের সাত চিকিৎসক এবং নার্স, সহকারী ও স্বজনসহ ১৬ জনের ভিসা করা হয়েছিল। যারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল তাদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সাতজন চিকিৎসক, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক ডা. শামসুল আরেফিন, ডা. নূর উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিক, ডা. জাফর ও ডা. আল মামুন। এ ছাড়া তিনজন নার্স। আরও যাওয়ার কথা ছিল প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি, দীর্ঘদিনের বিশ্বস্থ গৃহকর্মী ফাতেমা ও রূপার।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে তাকে দীর্ঘ দিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে।