জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম ব্যবস্থা উচ্ছেদসহ তিন দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন দুপুর পর্যন্ত অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তাঁদের অন্যান্য দাবিরগুলো হলো সকল শিক্ষার্থীর আসন-টেবিল-চেয়ার নিশ্চিত করা, নতুন হল খুলে কৃত্রিম আবাসন সংকট দূর করা এবং আসন বণ্টন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রশাসনকে নেওয়া।
অবরোধের সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনের অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন।
অবরোধে অবস্থান নেওয়া ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি ইমতিয়াজ অর্ণব বলেন, ‘এসব দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। এই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম ব্যবস্থা পূর্বে ছিল না। প্রশাসন পূর্বে সকল বৈধ শিক্ষার্থীকে সিট দিতে পারলে এখন কেন পারছে না। এটার সমাধান ছিল উন্নয়ন প্রকল্পের ছয়টি নতুন হল নির্মাণ। দেড় বছর পার হয়ে গেলেও প্রশাসন হলগুলো উদ্বোধন করতে পারেনি।’
অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাঁরা আমাদের দাবি মেনে নেবেন। উপাচার্যের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছি।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘দ্রুত প্রভোস্ট কমিটির মিটিং ডেকে গণরুম বিলুপ্তির বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করব। কমিটি হল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সংকট সমাধানের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেবে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটি গণরুম বিলুপ্তির ব্যাপারে দৃশ্যমান রোডম্যাপ তৈরি ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবে।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক নাসির উদ্দীন বলেন, ‘হলগুলোর ফার্নিচারসহ অন্যান্য ঘাটতিগুলো পূরণ করার জন্য আমরা সরকারের কাছে বাজেট চেয়েছি। কিন্তু সরকার এই মূহুর্তে বাজেট অনুমোদন করছে না। তবে ৩০ মার্চের মধ্যে ১৭ নম্বর হল ও ২০ নম্বর হল চালু করতে পারব বলে প্রত্যাশা করি।’
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গণরুম সংস্কৃতি বাতিল করে শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট নিশ্চিত করাসহ চার দাবিতে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।