গাজীপুরের সর্বপ্রথম কলেজ ‘কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ’ কাপাসিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের স্মৃতিধন্য প্রতিষ্ঠানটি আজও বেসরকরি।
১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ কলেজটি উদ্বোধনকালে বলেছিলেন ‘তিনটি এম, ম্যান, মানি ও মেন্টালিটি থাকলে সব হয়’।
কলেজে এইচএসসি, ডিগ্রি (পাস কোর্স), চারটি বিষয়ে অনার্স মিলে রয়েছে প্রায় তিন হাজার ছাত্রছাত্রী। অনার্স ও পাস কোর্মে প্রায় ১০০ শতাংশ পাস করে অনেকে দেশ-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। রয়েছে ১৯ দশমিক ১০ একর নিঃষ্কণ্টক জমি। সুবিশাল ভৌত অবকাঠামোর মধ্যে আছে ব্রিটিশামলে নির্মিত দ্বিতল প্রশাসনিক ভবন, অত্যাধুনিক চারতলা বঙ্গতাজ আইসিটি ভবন, তিনতলা সুবিশাল অ্যাকাডেমিক ভবন, দ্বিতল বিজ্ঞান ভবন, দ্বিতল অধ্যাপক মিলনায়তন ভবন, একতলা ডরমেটরি ভবন, একটি প্যাভেলিয়ন।
আছে আইসিটি ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণাগার, একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, বিস্তীর্ণ খেলার মাঠ, বড় তিনটি পুকুর, ঈদগাহ্ ময়দান, মসজিদ-মন্দিরসহ ছাত্রছাত্রীদের আলাদা কমনরুম।
এমপিওভুক্ত কলেজটির আর্থিক অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। রয়েছে সংরক্ষিত তহবিল। সবুজ-শ্যামলে মনোরম, সরকারিকরণের যুক্তিসংগত উপাদানে সম্মৃদ্ধ কলেজটি, উপজেলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ-পূর্ণাঙ্গ কলেজ। দেশের সব উপজেলায় রয়েছে সরকারি কলেজ। দেশের বেশকিছু উপজেলায় একাধিক সরকারি কলেজও রয়েছে।
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিধন্য, গাজীপুরের প্রথম কলেজ, কাপাসিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত-অর্ধশতাব্দিরও বেশি সুপ্রাচীন ‘কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ’ সরকারিকরণে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবাই।
লেখক : মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ইসলামিক স্টাডিজ কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর