নড়াইল-যশোর মহাসড়ক প্রশস্তকরণের জন্য কাটা হচ্ছে রাস্তার দুই পাশের গাছ। প্রকান্ড একটি গাছ রাস্তার ওপর পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় লোহাগড়া থেকে নড়াইল ফিরছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার গাড়িটিও যানজটে আটকে থাকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা।
গাড়ি থেকে নামলেন মাশরাফি। বললেন-‘ভাই আপনারা দিনে গাছ কাটছেন যানজট হচ্ছে, এতে সবার কষ্ট হচ্ছে।’ তার কথা শেষ হতে না হতেই বিপরীত দিক থেকে আসে অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ। এতো লোকজন দেখে অ্যাম্বুলেন্স চালক কিছুটা দূরে দাঁড়ালেন। মাশরাফি বললেন- ‘ভাই সবাই অ্যাম্বুলেন্সটাকে সাইড দেন, আগে যেতে দেন।’ তার ব্যাক্তিগত দেহরক্ষী বায়েজিদ, ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) জামিল আহমেদ, শাকিল, ম্যানেজার বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নীলসহ তার বহরে থাকা সকলে গাছ সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মাশরাফি নিজেও গাছে ধাক্কা দেন। ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় যানজট নিরসনে গাড়িগুলোকে হাতের ইশারায় পার করেন।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নড়াইল-যশোর মহাসড়কের চৌগাছা আলম ফিলিং স্টেশনের সামনের রাস্তায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
এমন উদ্যোগের কারণে রাস্তার পাশে থাকা লোকগুলো হাসিমুখে হাত নেড়ে মাশরাফিকে ধন্যবাদ জানান। তিনিও হাত নেড়ে হাসি মুখে প্রতি উত্তর জানান।
যানজটে আটকে থাকা ষাটোর্ধ্ব জব্বার মিয়া বলেন, লোকমুখে তার অনেক প্রশংসা শুনেছি। আজ নিজের চোখে দেখলাম শুধু মাশরাফি বলেই হয়তো পাবলিকের কষ্ট দেখে নিজে রাস্তায় নেমে গাছ সরালেন। দোয়া করি আমাদের সন্তান আমাদের নেতাকে আল্লাহ সুস্থভাবে বাঁচায় রাখুক আর সে মানুষের সেবা করুক।
পরিবার নিয়ে বিকাশ সাহা ফরিদপুরে যাওয়ার পথে বলেন, নেতা যদি হয় এমন সে জেলার উন্নয়ন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। টিভিতে শুধু দেখেছি, আজ নিজের চোখে দেখলাম মাশরাফি শুধু মাঠের নেতা নয় জনগণের নেতাও। স্যালুট বস মাশরাফি।
এর আগে মাশরাফি বিন মর্তুজা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ যোগ দিতে ভোর রাতে নড়াইলে পৌঁছান। দুপুরে সদ্য প্রয়াত লোহাগড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী বনি আমিনের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন তিনি।