দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : বরগুনার আমতলীতে একটি মাদরাসার ছাত্রদের সকালে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে জাগাতে গেলে দুই ছাত্র ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করে জখম করেছে। আজ সোমবার সকালে আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে ওই দুই ছাত্র পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
ওই দুই শিক্ষার্থী হলো– আমতলী উপজেলার হলদিয়ার রাওঘা গ্রামে মামুন মৃধার ছেলে ইমাম হোসেন ও পটুয়াখালী উপজেলার আমখোলা গ্রামে জিহাদ হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনার আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার সকল শিক্ষার্থীদের সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকেন মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি। এতে ওই মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইমাম হোসেন ও জিহাদ হোসেন ক্ষুব্ধ হয়। পরে তারা শিক্ষককে গাছের গুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। এতে শিক্ষক রাফির কানের উপরের অংশ মাথা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা শিক্ষককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জায়েদ আলম শিক্ষক রাফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
আহত শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি বলেন, ‘ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হোসেন ও জিহাদ আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা ওরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি ওই ছাত্রদের শাস্তির দাবি করছি।’
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ‘ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে দুই ছাত্র গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জায়েদ আলম বলেন, ‘আহত শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’