দৈনিক শিক্ষাডটকম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা শিক্ষকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টাকা নেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ। তারা রৌমারী উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও, উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতি সংক্রান্ত বিভিন্ন ফাইল অগ্রায়ণে টাকা নেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রৌমারী উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মাসিক আলোচনা সভায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসরা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তিনি এ অভিযোগ তোলেন। উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ সভায় অংশ নেন। তবে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদরুল হাসান ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন না।
শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার প্রমাণও আছে বলে দাবি করেন এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ। অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, মাধ্যমিক (শিক্ষা কর্মকর্তা) উপস্থিত থাকলে আমি বলতাম। (তাকে) বলে দিয়েন এসব যেনো না করে। তা না হলে আমরাও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
এসময় এমপি পলাশ ধনারচর সিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলোর খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি টিসিবি কার্ড, ফেয়ার প্রাইস কার্ড, নদীভাঙন, বিভিন্ন রাস্তা, ব্রিজ, বাঁশের সাঁকো, হাট-বাজার উন্নয়ন, সীমান্ত, উপজেলা মডেল মসজিদসহ বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী, রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিনু, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদরুল হাসান। সভা শেষে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে এমপি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলবো।
তিনি আরো জানান, এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে কেন্দ্রসচিবের দায়িত্বে থাকায় তিনি সভায় অংশ নিতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুকতার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিইও) মো. শামছুল আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। এমপি মহোদয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি বললে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।